ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কেরানীগঞ্জের অগ্নিকাণ্ড: একদিনে ৫ জনের মৃত্যু

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
কেরানীগঞ্জের অগ্নিকাণ্ড: একদিনে ৫ জনের মৃত্যু

ঢাকা: চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কাটেনি কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানার অগ্নিকাণ্ডের রেশ। সবশেষ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন আরও পাঁচজন।

শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার মৃত্যু হয় চারজনের।  

এছাড়া ও ইনস্টিটিউটেই লাইফ সাপোর্টে আছেন পাঁচজন।

তারা হলেন- সাজু (১৯), ফিরোজ (৩৯), সোহান (২৫), মফিজ (৪৫) ও সোহাগ (১৯)।

সর্বশেষ এদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মারা যায় সুমন হাওলাদার (২০) নামে এক শ্রমিক।  

সুমন বরিশাল সদর উপজেলার মোসলেম হাওলাদারের ছেলে। তিনি কেরানীগঞ্জের হাবিবনগর এলাকায় থাকতেন।

সুমনের মৃত্যুর বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, তার শ্বাসনালিসহ শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোর সাড়ে ৬টায় মুস্তাকিম, সকাল সাড়ে ৯টায় আবদুর রাজ্জাক ও বেলা সাড়ে ১১টায় আবু সাঈদ মারা যান। তারা চারজনই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। মুস্তাকিমের শরীরের ২০ শতাংশ, রাজ্জাকের শতভাগ ও সাঈদের ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।  

‘আইসিইউতে এখন আরও পাঁচজন ভর্তি রয়েছেন। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এছাড়া আরও আটজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন,’ যোগ করেন তিনি।

ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন (আরএস) আ ফ ম আরিফুল ইসলাম নবীন বাংলানিউজকে বলেন, কেরানীগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়   আমাদের হাসপাতালের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) আটজন ভর্তি রয়েছেন। তারা এখন পর্যন্ত স্ট্যাবল আছেন। তারা সবাই চিকিৎসকসহ পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ বার্ন হচ্ছে ২৯ শতাংশ।

অন্যদিকে রোববার সন্ধ্যায় নিজ বাসায় মারা যান এ ঘটনায় দগ্ধ হওয়া শ্রমিক দুর্জয় দাস। এদিন সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া হিজলতলা পেশপাড়া এলাকায় নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

দুর্জয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার বাবা মিন্টু দাস বাংলানিউজকে বলেন, রোববার সন্ধ্যার দিকে বাসাতেই মারা যায় দুর্জয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুড়ের দিকে ‘বাঁচবে না জানতে পেরে’ দুর্জয়কে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যায় স্বজনরা।

দুর্জয়ের বোন নয়নতারা বাংলানিউজকে বলেন, ওয়ার্ডের কয়েকজন বলেছে আমার ভাই আর বাঁচবে না। তার শরীরের ১০০ ভাগই পুড়ে গেছে।

গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) কেরানীগঞ্জ উপজেলার চুনকুটিয়া এলাকায় অবস্থিত ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কারখানার আগুন ধরে। এতে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে।

আরও পড়ুন...
***কেরানীগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডে আরও দুইজনের মৃত্যু, বেড়ে ১৯

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
এজেডএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।