ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পেটের ক্ষুধার কাছে শীত কিছুই না

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
পেটের ক্ষুধার কাছে শীত কিছুই না শ্রমিকরা ট্রাকে পাথর লোড করছে। ছবি: বাংলানিউজ

পঞ্চগড়: পেটে যদি ক্ষুধা থাকে তখন ঠিকই দিন-রাত কাজের সন্ধানে ছুটতে হয়। পেটের ক্ষুধার কাছে শীত কিছুই না। বলছিলেন পরিবহন লোড-আনলোড শ্রমিক রতন দাস।

মূলত শীতের জেলা বলা হয়ে থাকে হিমালয়ের একদম কাছে অবস্থিত পঞ্চগড়কে। এ জেলায় প্রতিবারই শীতের তীব্রতা অনেক বেশি থাকে।

এরই মধ্যে সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষদের চরম দুর্ভোগে দিন পার করতে হয়। পরিবারের চাহিদা মেটাতে এই কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়তে হয় সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষদের।

সরজেমিনে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, ট্রাকের লোড-আনলোড শ্রমিকরা শীতকে উপেক্ষা করেই দলবেঁধে খালি গায়ে ট্রাকে পাথর লোড করছেন।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যদিও সামান্য গরম কাপড় আছে তাদের কিন্তু কাপড় গায়ে দিয়ে ট্রাকে মালামাল লোড করতে সমস্যা হওয়ায় খালি গায়ে কাজ করতে হয়। এর মূল কারণ কাপড় গায়ে লোড করতে গেলে শরীর ভারী হয়ে যায়। আরও জানা যায়, একজন শ্রমিক কাজ করে প্রতিদিন ১৫০ টাকা থেকে সাড়ে ৩শ টাকা পর্যন্ত পান।  ৬ চাকার একটি ট্রাকে এক জন ১২৫ এসএফটি পাথর লোড করতে পারে এবং ১০ চাকার ট্রাকে এক জন শ্রমিক লোড করে ২০০ এসএফটি পাথর।

শ্রমিক চন্দন শর্মা বাংলানিউজকে বলেন, তেমন কোনো কাজ না থাকায় আমরা ট্রাকে লোড-আনলোডের কাজ করি। এ কাজে যা পাই তা দিয়ে আমাদের সংসার চলে।

নাসির উদ্দীন নামে আরেকজন বলেন, অভাবের সংসারে অসুস্থ হলেও কাজে যেতে হয়। এখানে শীত হোক বা গরম, কাজ না করলে তো আর ভাত জুটবে না।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় পাথর বালু ও শ্রমিক কল্যাণ সমিতির দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে জানান, সারা বছর কমবেশি পাথরের ব্যবসা চলে। এসব ট্রাকে পাথর লোড করে শ্রমিকরা। প্রতিদিন পঞ্চগড়ের পাথর ট্রাকে লোড হয়ে বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।

এদিকে আবহওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে এ জেলার তাপমাত্রা অনেকটাই ওঠানামা করছে। মঙ্গলবার সকালে আবারও এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।