শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঈশ্বরদী স্টেশন সড়ক অবরোধ করে মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ব্যানারে ঈশ্বরদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে কর্মসূচি পালন করেন মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, ঈশ্বরদীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যার ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও মূল রহস্য উদঘাটন না হওয়া, মুক্তিযোদ্ধার উত্তোলিত জাতীয় পতাকার অবমাননা প্রকৃত বিচার আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে না হলে ঈশ্বরদী থেকে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে ঈশ্বরদীকে অচল করে দেওয়া হবে বলে।
ঈশ্বরদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মুস্তফা চান্না মন্ডলের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধাকালীন মুজিব বাহিনীর প্রধান, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল খালেক, হাবিবুল ইসলাম হবিবুল, সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস, তহুরল আলম মোল্লা, আবু তাহের বকুল, আওয়ামী লীগ নেতা ইছাহক আলী মালিথা, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু, সংবাদকর্মী সেলিম সরদার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আব্দুর রহমান মিলন প্রমুখ।
২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঈশ্বরদীর পাকশি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান সেলিমকে নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর ওই বছরের মহান বিজয় দিবসে ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নে চরমিরকামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধার উত্তোলিত জাতীয় পতাকা নামিয়ে পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষক আবু হেনা মোস্তফাসহ সংশ্লিষ্টরা। ঘটনা দুইটির দীর্ঘ কয়েকমাস পেরিয়ে গেলেও মূল অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
এনটি