জাতীয় সংসদ ভবনস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
হারিস বিন ওথমান বলেন, বাংলাদেশ কৃষিখাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে, কাজেই আমাদের কৃষিখাতের বিশেষ করে হ্যাচারি (কৃত্রিম মাছের পোনা উৎপাদন) খাতের সম্প্রসারণে সহায়তা চাই।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্যশস্য এবং সবজি উৎপাদনের সাফল্য নিয়ে ব্রুনাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে।
সারাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে সেখানে বিনিয়োগ করতে ব্রুনাইকে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।
‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনকালে ব্রুনাই সুলতানকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ অপেক্ষমান রয়েছে বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা।
এসময় সম্প্রতি ব্রুনাই সফরের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নবনিযুক্ত হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান এবং দায়িত্ব পালনকালে সবধরনের সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা এবং বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার।
পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান ’দ্বৈতকর নীতি’ পরিহার করার বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করেন তিনি।
বাংলাদেশের চমকপ্রদ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির বিশেষ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য বিমোচনের প্রশংসা করেন হারিস ওথমান।
বাংলাদেশ থেকে মাংস আমদানিতেও আগ্রহ প্রকাশ করেন ওথমান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এমইউএম/আরএ