ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জানুয়ারিতেই চূড়ান্ত হবে মুজিববর্ষের পরিকল্পনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
জানুয়ারিতেই চূড়ান্ত হবে মুজিববর্ষের পরিকল্পনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: চলতি মাসের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের বছরব্যাপী আয়োজনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। এর উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির চতুর্থ সভা শেষে এর প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১০ জানুয়ারি ক্ষণ গণনার মধ্য দিয়েই মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে।

এ আয়োজন ঘিরে সারাদেশে এখন উৎসবের আমেজ চলছে। বছরব্যাপী এ আয়োজন সবার সঙ্গে পালনের জন্য আজকের এ সভা হয়েছে। এখান থেকে নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চূড়ান্ত করবেন। এরপরেই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এ আয়োজন সম্পর্কে সবাইকে জানাতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিশ্বের অন্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। তবে কারা উপস্থিত থাকবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তাদের কাজের অগ্রগতি হয়েছে। এ বিষয়েও পরে জানানো হবে।

১৭ মার্চের আগেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের দিন রয়েছে। সে উপলক্ষে কোনো আয়োজন থাকছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দু’টি দিবসেই আলাদা আলাদা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা ইতোমধ্যেই বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। সে সঙ্গে আগামী বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলাও বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গ করা হবে।

বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। এগুলো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত হবে। এ সময় তিনি জানান, আগামী ২৫ জানুয়ারি জাতীয় কমিটির পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভার সদস্য সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এটা বছরব্যাপী বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশাল প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হবে। কিন্তু সেখানেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেজন্য সারা দেশে এ আয়োজন ছড়িয়ে দিতে এলইডি স্ক্রিন স্থাপন করা হবে, যেন সারাদেশের মানুষ একসঙ্গে এ আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পারেন।

অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী জানান, ঢাকা ও সারাদেশে ১০০টি ক্যামেরার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি করবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন সম্প্রচার করছি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিনে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে সারাদিন নানা আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। সে সঙ্গে দেশের বাইরেও এ আয়োজন ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থল জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ১৮টি, রাজধানীর ১৮টি স্থান থেকে ১৮টি এবং ৬৪ জেলায় একটি করে মোট ১০০ ক্যামেরার মাধ্যমে এ আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এতে সারা পৃথিবীব্যাপী এ আয়োজন ছড়িয়ে পড়বে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, চিত্রনায়িকা কবরী, কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত, বিটিভির মহাপরিচালক হারুন উর রশিদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
ডিএন/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।