ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অপহরণকারী চক্রের আইনজীবীর সন্তানকেই অপহরণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
অপহরণকারী চক্রের আইনজীবীর সন্তানকেই অপহরণ

ঢাকা: অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের আদালতে আইনী সেবা দিয়ে আসছিলেন ফখরুল ইসলাম নামে এক আইনজীবী। সে সুবাদে ওই আইনজীবীর পরিবার বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল ওই চক্রের সদস্যদের। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আইনজীবীর সন্তানকেই অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি।

গত ২১ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসা থেকে বেরিয়ে তানজিম আল ইসলাম দিবস (১৭) ও মো. খালিদ হাসান ধ্রুব (১৯) নামে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের আট সদস্যকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আটকরা হলেন- ফকর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রাসেল, রশিদুজ্জামান ওরফে তুষার, শফিকুল ইসলাম, এইচ এম মশিউর রহমান ওরফে পাপ্পু, ইমতিয়াজ আহমেদ, আরিফুল ইসলাম ওরফে নিশান ও আব্দুল্লাহ আল নোমান।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিনগত রাতে রাজধানীর ডেমরা, মতিঝিল ও মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আরও পড়ুন>> মোহাম্মদপুরে দুই শিক্ষার্থী অপহরণ: আটক ৮

এসময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, তিনটি মোটরসাইকেল, ম্যাগজিনসহ একটি পিস্তল, ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, ডিএমপির পুলিশ সার্জেন্টের র‌্যাঙ্কব্যাজসহ পোশাক, পুলিশ কনস্টেবল পদমর্যদার শার্ট, ওয়ারলেস সেট, চারটি পিস্তল সদৃশ্য লাইটারসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।

আবদুল বাতেন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা আইজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহা. ফখরুল ইসলামের ছেলে দিবস ও তার শ্যালক ধ্রুব গত ২১ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসা থেকে বেরিয়ে অপহৃত হন। তারা আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে ল্যাপটপ কিনতে বেরিয়েছিলেন। ধ্রুব ঢাকা কলেজের সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ও তার ভাতিজা দিবস একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এ লেভেলের শিক্ষার্থী।

তিনি বলেন, ২২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টায় অপরিচিত একজন তানজিমের মাকে ফোন করে জানান তানজিম ও তার মামা ধ্রুবকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা নৌকা কোড ব্যবহার করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে মুক্তিপণ না দিলে হত্যার হুমকি দেয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আবদুল বাতেন জানান, আটকরা পেশাগত অপহরণকারী চক্রের সদস্য। আগেও তারা অপহরণের মামলায় কারাগারে গিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, অপহৃত তানজিমের বাবা ছিলেন অপহরণকারী চক্রের পক্ষের আইনজীবী। সে সুবাদে অপহরণকারীদের ভিকটিমের পরিবার সম্পর্কে বিস্তর ধারণা ছিল তাদের। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তারা তানজিম ও তার মামা ধ্রুবকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।