বরগুনা: বরগুনায় তানজিলা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর মুখে কীটনাশক ঢেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুরবাড়ির স্বজনদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৯ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এ অভিযোগ করেন মৃত গৃহবধূর মা হওয়া বেগম।
শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তানজিলাকে তার শ্বশুরবাড়ির স্বজনরা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এক সন্তানের মা তানজিলা বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের বানাই এলাকার জাহাঙ্গীরের স্ত্রী। তিনি সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের লবনগোলা গ্রামের মো. রাজা মিয়ার মেয়ে। ময়নাতদন্তের জন্য তানজিলার মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে তানজিলার মা হাওয়া বেগম বলেন, আট বছর আগে তানজিলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তানজিলা শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছিলেন তানজিলা। শ্বশুরবাড়িতে অবস্থানকালে ঠুনকো ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির স্বজনদের সঙ্গে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো তানজিলার।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেলে তানজিলাকে মারধর করা হলে তিনি মারা যান। এরপর মৃত্যুর ঘটনা আত্মহত্যা হিসেবে প্রমাণ করার জন্য তানজিলার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে আসেন তার শাশুড়ি সাজেদা বেগম এবং দেবর মো. বাশার। ডাক্তার তানজিলাকে মৃত ঘোষণা করলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান তারা।
এ বিষয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মেহেদী হাসান বলেন, সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তানজিলাকে মৃত অবস্থায় কয়েকজন স্বজন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। এসময় তানজিলার মুখ থেকে বুদবুদ বের হচ্ছিল। তার সঙ্গে আসা স্বজনরা জানান, তানজিলা কীটনাশক পান করেছেন।
এছাড়াও তানজিলার চোখে-মুখে কীটনাশক পান করার লক্ষণ ছিল বলেও জানান এ চিকিৎসক।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২০
এএ
