ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

হত্যা করে শ্যালককে বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দিল দুলাভাই

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২০
হত্যা করে শ্যালককে বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দিল দুলাভাই মরদেহ উদ্ধার। প্রতীকী ছবি

বরগুনা: বরগুনায় পানিতে ডুবিয়ে হত্যার পর বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া আবদুল্লাহ (৭) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

 শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরগুনার বিষখালী নদীর মোল্লারহোরা এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে এলাকাবাসী।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।

এর আগে  বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবদুল্লাহকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার পর বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেয় তার ভগ্নিপতি মোসলেম। আবদুল্লাহকে খুনের পর তার দেড় বছর বয়সী ছোট ভাই আফসানকে একই কৌশলে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা চেষ্টার সময় স্থানীয়রা মোসলেমকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করে।

এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী বাবুল মোল্লা জানান, সন্ধ্যায় বিষখালী নদীর মোল্লারহোরা এলাকায় বাদল নামে এক জেলে আবদুল্লাহর মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়।

এদিকে এ খুনের ঘটনায় নিহত আবদুল্লাহর বাবা মো. ছগীর হোসেন বাদী হয়ে তার জামাতা মোসলেমের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় আটক মোসলেমকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম বলেন, শিশু আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধারের জন্য শুক্রবার দুপুরে ডুবুরির মাধ্যমে বিষখালী নদীতে অনুসন্ধান চালানো হয়। কিন্তু ডুবুরিরা আবদুল্লাহর মরদেহ খুঁজে পাননি। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলেরা মরদেহটি নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।