ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার হুজুরপাড়া এলাকায় বসবাস করেন এস এম ওবায়দুল্লাহ। স্ত্রীর মৃত্যুর পর সম্প্রতি তিনি সেলিনা খানম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন।
বিপ্লব সুদূর জার্মান থেকে সৎ মা সেলিনাকে হত্যার ছক আঁকেন। এরপর দুই লাখ টাকা চুক্তিতে ভাড়াটে খুনি জান্নাতুল ফেরদৌস নাইমকে ঠিক করেন। এক পর্যায়ে কামরাঙ্গীরচরে ওবাইদুল্লাহর বাড়িতে রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন নাইম। সুযোগ বুঝে গত ২ অক্টোবর পরিকল্পিতভাবে সেলিনাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন তিনি।
ভুক্তভোগীর স্বামী ওবাইদুল্লাহর করা হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায় গত শুক্রবার (৯ অক্টোবর) দিনগত রাতে আসামি নাইম গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শামসুল আরেফীন বাংলানিউজকে বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা প্রথমে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে শুক্রবার নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি রাজধানীর ভাষানটেক নাইমের মামার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম জানান সেলিনাকে হত্যার জন্য বিপ্লব তাকে ৫০ হাজার টাকা ও একটি ছুরি নড়াইলের একজন ব্যক্তি তার কাছে সরবরাহ করেন। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী কামরাঙ্গীরচরে ওবাইদুল্লাহর বাসায় রুম ভাড়া নেন নাইম। সুযোগ বুঝে সেলিনাকে ওই ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। এরপর বিপ্লব গত ৩ অক্টোবর বিকাশের মাধ্যমে নাইমকে আরও ৬০ হাজার টাকা পাঠান।
গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, নাইমকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ওবাইদুল্লাহর ছেলে বিপ্লব হোসেন। তবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ওবায়দুল্লাহর সৌদি প্রবাসী ভাই মিজানের যোগসাজস পাওয়া গেছে। তারা দু’জনই নাইমের সঙ্গে যোগযোগ করেছেন।
গ্রেফতার নাইমকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২০
এসজেএ/আরবি/