কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে চার ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার চার জন হলেন- কায়সার আলী, আবু বক্কর, সোবহান আলী লিটন ও মমিনুল ইসলাম। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি রবিউল এখনো পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উলিপুর পৌরসভার বলদিপাড়া গ্রামের এক সন্তানের জননী ওই গৃহবধূকে (২৫) তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রতিবেশি ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম (৩০) বাড়িতে এসে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। একপর্যায়ে গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার এক পর্যায়ে রবিউল গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার মোবাইল ফোনে কল করে ডেকে নেন। পরে গৃহবধূ তার দেড় বছরের শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে উলিপুর বাজারে গেলে রবিউল একটি অটোরিকশাযোগে তাকে উপজেলার রাজারঘাট গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে আবু বক্করের ফাঁকা বাড়িতে তাকে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন রবিউল। এ সময় রবিউলের সহযোগী কায়ছার আলী, সোবহান আলী লিটন, মমিনুল ওই গৃহবধূকে রাতভর পালাক্রমে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করেন। পরদিন ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে গৃহবধূকে ঘরের মধ্যে রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যান। পরে তিনি একটি অটোরিকশাযোগে চিলমারী উপজেলায় তার বাবার বাড়িতে চলে যান।
গৃহবধূর শ্বশুর অভিযোগ করেন, এ ঘটনার কয়েকদিন পর তার ছেলের স্ত্রী বাড়িতে ফিরে এলে রবিউল পুনরায় তাকে কু-প্রস্তাব দেন। এতে ওই গৃহবধূ রাজি না হলে রবিউল তাকে গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করার ভয় দেখাতে থাকেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই গৃহবধূ উলিপুর থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রুহুল আমীন বাংলানিউজকে জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার চারজনকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২০
এফইএস/আরআইএস