ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মাসেতুর ৪ হাজার ৮০০ মিটার দৃশ্যমান 

সাজ্জাদ হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
পদ্মাসেতুর ৪ হাজার ৮০০ মিটার দৃশ্যমান  পদ্মাসেতুতে ৩২তম স্প্যান বসানো হয়েছে, ছবি: বাংলানিউজ

মুন্সিগঞ্জ: পদ্মাসেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে ৩২তম স্প্যান 'ওয়ান-ডি'। আর এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৪ হাজার ৮০০ মিটার।

অর্থাৎ প্রায় ৫ কিলোমিটার।  

রোববার (১১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২২ মিনিটে স্প্যানটি বসানো সম্পন্ন হয়।  

এর আগে সকাল ৭টা থেকে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। শনিবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৯ ঘণ্টা চেষ্টা করেও পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়নি। আবহাওয়াসহ সব কিছু অনুকূলে থাকায় রোববার স্প্যানটি বসানো সম্ভব হলো।

এর আগে, শনিবার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চেষ্টা চলে। কিন্তু পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি নোঙর করতে না পারায় ওই দিনের কার্যক্রম স্থগিত করে পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ধূসর রঙয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানকে বহন করে রওনা দেয় ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন 'তিয়ান-ই' ভাসমান ক্রেনটি। এরপর প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছায় ওইদিন দুপুর ২টার দিকে। এরপর থেকে স্প্যানবহনকারী ক্রেনটি নোঙর করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে আর করতে পারেনি। এরপর রাত থেকে সেখানেই অবস্থান করে ক্রেনটি।

পদ্মাসেতু সূত্র জানায়, সেতুতে মোট ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাকি স্প্যানগুলো বসিয়ে দেওয়া হবে। তাদের লক্ষ্য, আগামী বছর সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা। এখন পদ্মায় বন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্রোতের তীব্রতাও স্বাভাবিক গতিতে ফিরেছে। ফলে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজেও গতি ফিরেছে।

পদ্মাসেতুর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেতু নির্মাণে প্রায়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাব। এরই মধ্যে হাজার ছাড়িয়েছে রোড স্লাব বসানো। এছাড়া ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্লাব বসানো হবে, এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৫০০টির বেশি। পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মাসেতুর কাঠামো।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।