ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মাগুরায় নৌকায় বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হলো শিশুকে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
মাগুরায় নৌকায় বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হলো শিশুকে মাহিদ

মাগুরা: মাগুরায় মুক্তিপণ না পেয়ে মাহিদ (৭) নামে একটি শিশুকে নৌকায় বেঁধে নবগঙ্গা নদীতে ডুবিয়ে দিয়েছে এক কিশোর।  

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রোহান নামে এক কিশোর ও তার বাবা ইমরান আলি আসলামকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে, ওই কিশোর মাহিদকে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে।

এ ঘটনায় আটক কিশোর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার (১০ অক্টোবর) পুলিশ নবগঙ্গা নদীতে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। রাত পর্যন্ত শিশুটির কোনো খোঁজ মেলেনি। রোববার (১১ অক্টোবর) সকাল থেকে নতুন করে সেখানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।  

পুলিশ জানায়, গত ৭ অক্টোবর সকালে মাগুরা সদর উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের মজিরুল মোল্লার ছেলে মাহিদ নিখোঁজ হয়। ওই দিনই শিশুটির বাবা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু পরদিন মোবাইল ফোনে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।

ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে ওই গ্রাম থেকেই অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া রোহান (১৪) নামে এক কিশোর এবং তার বাবা ইমরান আলি আসলামকে আটক করে।

পরে রোহান পুলিশের কাছে স্বীকার করে, সে হনুমান দেখতে যাওয়ার কথা বলে মাহিদকে বাড়ির সামনে থেকে নিয়ে যায়। কিন্তু তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির পাশে নবগঙ্গা নদীর ঘাটে। সেখানে আগে থেকে ভিড়িয়ে রাখা একটি তালগাছের ডিঙ্গি নৌকায় বেঁধে শিশুটিকে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।

পুলিশের হাতে আটক রোহান নিখোঁজ শিশুটির প্রতিবেশী। কিছুদিন আগে রোহানের বাবাকে মাহিদের বাবা অপমান করায় তার প্রতিশোধ নিয়ে সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। তবে এছাড়া তাদের মধ্যে পুরনো কোনো শত্রুতা নেই বলে জানিয়েছেন নিখোঁজ মাহিদের চাচা নিরো মোল্লা।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নুল আবেদীন জানান, আটক রোহানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে রাত পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি চালানোর পরও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় মামলা হয়নি। জিডির পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্ত চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।