মেহেরপুর: মেহেরপুরে রুবিনা খাতুন (২৬) নামের এক সন্তানের জননীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। তবে রুবিনার স্বামীর পরিবারের সকলেই পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় সদর থানা পুলিশ মেহেরপুর হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহত রুবিনা খাতুন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী পশ্চিম পাড়া এলাকার মিলন হোসেনের স্ত্রী। মিলন বেসরকারি সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কর্মরত।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় কর্মরত জেলা বিশেষ শাখা পুলিশের (ডিএসবি) সহকারী দারোগা শেখ সোহেল বাংলানিউজকে জানান, ভোররাতের দিকে কয়েকজন লোক নিহত রুবিনাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে রেখে চলে গেছে। নিহতের শরীরের অধিকাংশই পুড়ে গেছে।
রুবিনার মামা আফফান আলী বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে রুবিনা ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করে জানিয়েছিলো 'আমার খুব সমস্যা তোমরা আজ রাতেই এখানে এসো'। সকালে বামন্দী যাওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তার আগেই ভাগ্নির পোড়া দেহ পেলাম। রুবিনার মনিকা নামের দুই বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে তারও কোনো খোঁজ পাচ্ছিনা।
রুবিনার খালু জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মিলন বিয়ের পর থেকেই রুবিনার ওপর অত্যাচার করতো। যৌতুকের দাবিতে মারধর করতো। সে পরকীয়াতে আসক্ত ছিলো বলে রুবিনা জানিয়েছে।
গাংনী থানার ওসি ওবায়দুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নিহতের মরদেহ বর্তমানে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। তদন্ত করে পুরো ঘটনা জানাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২০
কেএআর