ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঝিনাইগাতীতে কৃষকের শসা গাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২০
ঝিনাইগাতীতে কৃষকের শসা গাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা  শসা ক্ষেতের সামনে সাইফুলের স্ত্রী নাসিমা বেগম। ছবি: বাংলানিউজ

শেরপুর: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় সাইফুল ইসলাম নামে এক কৃষকের ২৫ শতাংশ জমির শসা গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।  বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রতাপনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, সাইফুল ইসলাম একজন দিনমজুর ছিলেন। ২০১২ সালে তিনি ২৫ শতাংশ জমি বন্ধক নিয়ে ওই জমিতে সবজি চাষ শুরু করেন। ওই জমিতে উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে কোনো রকমে চলে তার সংসার। দুই ছেলে তিন মেয়েসহ সাত সদস্যের পরিবার তার। উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা ও ভরণপোষণ যোগাতেন সাইফুল ইসলাম।  

চলতি মৌসুমে ওই জমিতে শসা আবাদ করেন তিনি। করোনার সময়ে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও ৬০ হাজার টাকা ঋণ করে অতি কষ্টে ওই জমিতে শসার আবাদ করেন সাইফুল। ইতোমধ্যে শসা উত্তোলনও শুরু করেছিলেন তিনি।  

সাইফুলের স্ত্রী নাসিমা বেগম জানান, দুই দফায় এক মণ শসা তুলে করে বিক্রি করা হয়েছে। এ সপ্তাহে আরও এক মণ শসা তোলা যেত। এ ক্ষেতের উৎপাদিত শসা বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ ও পরিবারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহ হত। কিন্তু সেই আসায় এখন গুড়েবালি। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা শসা গাছগুলো কেটে সাবার করে দেয়। এতে তার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। পরিবারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন শেষ হয়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন সাইফুল ইসলাম। কী দিয়ে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার খরচ ও পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ যোগাবেন এ চিন্তায় তিনি এখন দিশেহারা।  

শুক্রবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য মফিজ উদ্দিনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কেটে দেওয়া শসা ক্ষেতটি দেখতে যান। এ সময় কান্নায় ভেঙে পরেন নাছিমা বেগম।  

এ ব্যাপারে কৃষক সাইফুল ইসলাম তার শসা ক্ষেত কেটে দেওয়া দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।