ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু ও নারী নির্যাতন বন্ধের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২০
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু ও নারী নির্যাতন বন্ধের দাবি মানববন্ধন, ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস মুভমেন্ট। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।

 

এ সময় সংস্থার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ড. মোজাহেদুল ইসলাম মুজাহিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পুলিশ জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করে। অথচ বাংলাদেশে পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। দেশব্যাপী পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, নারীর প্রতি সীমাহীন নির্যাতন ও ধর্ষণের রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে একটা জাতি, একটা দেশ চলতে পারে না। সবার আগে দেশের মানুষের মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে ভূমিকা পালন করতে হবে। নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। সর্বপরি নিজেকে বদলাতে হবে।

মানববন্ধনে অন্য বক্তারা বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটে থাকে। প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে ভিকটিমকে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ করা হয়। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। গোটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনায় জড়িত না হলেও বাহিনীর কিছু সদস্যের কারণে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। সৃষ্টি হয় আস্থার সংকট। কাজেই প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত এ ধরনের সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া।

তারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু রোধে দেশে আইন রয়েছে। নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী, এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করার সুযোগ আছে। কিন্তু আইন থাকলেও এর তেমন প্রয়োগ নেই। এর কারণ এ ধরনের ঘটনায় মামলা করতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ভয় পায়। সেক্ষেত্রে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর এগিয়ে আসা উচিত।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির জন্য বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা। অপরাধীদের প্রতি আইন ও প্রশাসনকে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শুধু প্রশাসন নয়, সমাজের প্রতিটি মানুষকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সমাজে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা দিতে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংস্থার নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান বাবু এস কে পাল, সাংবাদিক শারমিন সুলতানা রূমা, নবাব সালেহ আহমেদ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ ইসলাম, সংস্থার যুগ্ম মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক নাঈম, মানবাধিকার কর্মী মো. রেজাউল করিম সাগর, পারভীন আক্তার, মিশারুল ইসলাম মিশুল, নুসরাত ইসলাম সুখী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২০
এইচএমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।