বগুড়া: বগুড়ার সদর উপজেলায় ছুরিকাঘাতে রশিদুল ইসলাম (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত দ্বিতীয় আসামি সিয়ামকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বগুড়া শহরতলী তিনমাথা রেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে রশিদুল নিহত হন। এ ঘটনায় তার ভগ্নিপতি বছির আহত হয়েছেন। নিহত রশিদুল সদর উপজেলার রহমান নগর এলাকার মৃত জাহেদুল ইসলাম লালুর ছেলে। তিনি শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় জব্বার ক্লাব মোড়ে ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করতেন। সেই সঙ্গে তিনি একাধিক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে রশিদুলের ভাগ্নে শান্ত (১২) টাউন স্কুল মাঠে খেলছিল। এসময় কয়েকজন যুবক তাকে মারধর করেন। এনিয়ে ওই যুবকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন রশিদুল। এসময় তার ভগ্নিপতি বছির ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে মারধরকারী যুবকরা রশিদুল এবং বছিরকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাদের দু’জনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে রশিদুল মারা যান।
এ ঘটনার পর বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকালে নিহত রশিদুলের স্ত্রী কেয়া খাতুন বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসাসিরা হলেন-বগুড়া সদর উপজেলার মাতলতিনগর এলাকার বাসিন্দা রুমেল ভুইয়ার ছেলে সামাইল মাহাদী ভুইয়া (১৯) ও একই এলাকার সিয়াম (১৯)।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা বাংলানিউজকে জানান, রশিদুল হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী থানায় দু’জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে শহরতলীর তিনমাথা রেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি সিয়ামকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহাদীকে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২০
এসআই