রাজশাহী: দেশের প্রাচীন সম্পদ সমৃদ্ধ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় থাকা চারআনি রাজপরগণা সংরক্ষণ করতে যাচ্ছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এরইমধ্যে রাজবাড়ির মূল ফটকের পাশাপাশি চারআনি রাজপরগণার মূল ফটকসহ ভবনের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে।
শেষ পর্যন্ত এটি যথাযথভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হান্নান মিয়া সেই লক্ষ্যে রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ির চারআনি রাজপরগণা পরিদর্শন করে গেছেন।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুল হাই মো. আনাস বলেন, চারআনি রাজপরগণাটি সংরক্ষণের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজপরগণাটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। তবে সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য এ এলাকাটি অধিগ্রহণ করা হবে। সেজন্য অধিদফতরের মহাপরিচালক রাজবাড়ির চারআনি রাজপরগণা পরিদর্শন করে গেছেন। শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) তিনি এসেছিলেন।
পরিদর্শন শেষে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. হান্নান মিয়া বলেছেন, এটি সংরক্ষণের জন্য আরও আগে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন ছিল। তবে এখনও বেশি দেরি হয়নি। অধিদফতর দ্রুতই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে এটিও সংরক্ষণ করা হবে। এজন্য তিনি ফিরে গিয়ে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য শিগগিরই জেলা প্রশাসককে চিঠি দেবেন।
১৫৫০ সালে বৎসাচার্যের ছেলে পিতাম্বর রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবংশের গোড়াপত্তন করেন। আর পিতাম্বরের অনুজ নীলাম্বর পুঠিয়া রাজবংশের প্রথম রাজা হন।
চতুর্থ ধনপতি চাঁদ সওদাগর থেকে শুরু করে পরেশ নারায়ণ ও নরেশ নারায়ণ বাহাদুর পুঠিয়া রাজবংশ প্রায় ৪০০ বছর শাসন করেন। এরপর ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে রাজপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর রাজপরগণার উত্তরাধিকারীরা সপরিবারে ভারতবর্ষে চলে যান। বর্তমানে পুঠিয়া পরগণায় রাজা নেই, রাজ্যও নেই। সমস্ত রাজপরগণাজুড়ে আছে তাদের অনেক স্মৃতি বিজড়িত পুরাকীর্তি। কিন্তু নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে চারআনি রাজবাড়ি এখন বিলুপ্তির পথে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
এসএস/আরবি/