চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ছিরায়চর ও শিলায়েরচর নামক স্থানে নৌপুলিশ ও জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন।
মারমুখি জেলেদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এবং পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষায় প্রায় ৪৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
রোববার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় মা ইলিশ রক্ষায় নৌপুলিশের কর্মকর্তা ও শতাধিক সদস্যসহ একটি দল শরীয়তপুর থেকে অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলে পথে ইলিশ শিকারে বাধা দিলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নৌ-অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ফরিদা ফারভীন, পুলিশ পরিদর্শক মুজাহিদুল ইসলাম, নায়ক ইকবাল হোসেন, ইলিয়াছ হোসেন, শাহ্ আলম, কনস্টেবল আল মামুন, ফেরদৌস শেখ, আল-আমিন, কাউছার হোসেন, মোনায়েম আহম্মেদ ও প্রসনজিৎ।
আটক জেলেরা হলেন ওমর ফারুক, কবির হোসেন, রুবেল, খলিল, শাহজাহান, মাহফুজ ও নজির হোসেন।
নৌ-পুলিশের এডিশনাল এসপি (মিডিয়া) ফরিদা পারভীন বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল মা ইলিশ রক্ষায় তারা ঢাকা থেকে অভিযানে নামে। ওই সময় আকাশ পথে একটি হেলিকপ্টার ছিল। রাতে শরীয়তপুর এলাকায় অভিযান শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ঘটনাস্থলে এলে কমপক্ষে তিন থেকে চার হাজার জেলেকে শত শত নৌকা অবৈধভাবে মা ইলিশ শিকার করতে দেখা যায়। এ সময় নৌপুলিশ সদস্যদের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্পিডবোটে গিয়ে জেলেদের কয়েকটি নৌকা ও জাল জব্দ করে। এরপর ওই স্থানে থাকা হাজার হাজার জেলে অতর্কিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষায় তাৎক্ষণিক ৪৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে জেলেদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে আহত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতলে নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বড় জাহাজে নৌপুলিশের কয়েকজন এসপি ছিলেন। তারা ঘটনাস্থলেই অবস্থান করছিলেন। আমি নিজেও জেলেদের হামলায় আহত হয়েছি। অভিযানের সময় বেশ কয়েকটি নৌকা, জাল ও ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। কিন্তু সেগুলো ওই অবস্থায় পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
এসআই