ঢাকা, বুধবার, ১ কার্তিক ১৪৩১, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমএ বারী সড়ক মেরামত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২০
খুলনায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমএ বারী সড়ক মেরামত খুলনায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমএ বারী সড়ক মেরামত করেছেন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন ও বিসমিল্লাহ প্রোপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।

খুলনা: খুলনায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে সোনাডাঙা বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এমএ বারী লিংক সড়কটি (ময়ূর সেতু সড়ক) মেরামত করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন ও বিসমিল্লাহ প্রোপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ সড়কটি মেরামত করান।

শেখ শাহাজালাল বলেন, ‘সরকারিভাবে একটি সড়ক নতুন করে করতে গেলে অনেক সময় লাগে। অনেক প্রক্রিয়ার ব্যাপারও রয়েছে। ওই সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয় সে জন্য আমরা সড়কটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংস্কার করে দিয়েছি। ’

মো. সাইফুল বলেন, ‘দীর্ঘ দিন সংস্কারের অভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছিল। বর্ষার কাদাপানি জমে গর্ত ও খানাখন্দ দিন দিন বড় হচ্ছিল। রাস্তাটি নিয়ে বিপাকে পড়েন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত কাদা জমে। তখন যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে, যা প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। বুধবার সকালেও এ সড়ক দিয়ে যেতে গিয়ে একটি ইজিবাইক উল্টে যায়। এক নারী ও তার শিশুর পা ভেঙে গেছে। এ কারণে জনসাধারণের স্বার্থে সড়কটিতে ইট ও বালু দিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। ’

সোনাডাঙা বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বাইপাস সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৩ সালের ৩০ জুন। কাজ শেষ হওয়ার কিছু দিন পর খুলনা সিটি করপোরেশন ও এলজিইডিকে সড়কটি হস্তান্তর করে কেডিএ (খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। সড়কটির মহানগর অংশ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) এবং বাকি অংশ এলজিইডির।

এদিকে, রাস্তাটি মেরামত করায় খুশি গাড়িচালক, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।

এ সড়কের পাশের মাশাল্লাহ এন্টারপ্রাইজের মালিক বোরহান উদ্দিন জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, ‘সোনাডাঙা বাস টার্মিনাল থেকে জয়বাংলার মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কটি বৃষ্টিতে ডেবে গিয়ে মানুষ ও যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। প্রতিদিন শত শত বাস, ট্রাক, ইজিবাইক, ব্যক্তিগত গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতো। সড়কটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংস্কার করার পর চলাচলের উপযোগী হলো। ’

সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যারা, তাদের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২০
এমআরএম/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।