ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুদকের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন

সিনিয়র করেসপন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২০
দুদকের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন

ঢাকা: দুদকের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক ও মহাপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এক ভার্চুয়াল সভায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ আহ্বান জানান।

এসময় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ গ্রহণ থেকে প্রসিকিউশন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে।

অভিযোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রেডিং সিস্টেম প্রবর্তন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে মার্কিং সিস্টেম স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে হবে যাতে অভিযোগের প্রাথমিক বস্তুনিষ্ঠতা, ব্যাপকতা, আর্থিক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ, সর্বোপরি দুদক আইনের তফসিল ও বিদ্যমান বিধি-বিধানের সঠিক প্রতিফলন ঘটে।  

‘অনুসন্ধানের পরে যদি দেখা যায় অভিযোগটি ভিত্তিহীন বা দুদক আইনের তফসিলভুক্ত নয়, তাহলে অভিযোগসংশ্লিষ্ট ওই ব্যক্তি নিজেকে তাত্ত্বিকভাবে হয়রানির শিকার বলেও মনে করতে পারেন। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার বিষয়গুলোও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। অনাহুতভাবে দুদকের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন, এ বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। ’ 

তিনি বলেন, প্রতিটি অভিযোগ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অনুসন্ধান বা তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। বেশ কয়েকবার এ বিষয়ে প্রশাসনিক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। যদিও পেন্ডিং অনুসন্ধান বা তদন্তের সংখ্যা কমেছে। তবে এ সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থা জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়ক নয়।
  
পরিচালকদের কাছ থেকে পাওয়া পেন্ডিং অনুসন্ধান ও তদন্তের পরিসংখ্যান দেখে দুদক চেয়ারম্যান আবারও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।  

পরিচালকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, উপযুক্ত কারণ ছাড়া, ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে রাত-দিন কাজ করে এসব পেন্ডিং ইস্যু আগামী ৭ দিনের নিষ্পত্তি করতে হবে। কোয়ারি বা অন্য কোনো ছুঁতোয় অভিযোগের অনুসন্ধানের দীর্ঘসূত্রতা হয়রানির নামান্তর।

‘কমিশনের ভাবমূর্তি উন্নয়নে আপনাদের কাজের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। তথ্যপাচারের মতো প্রশাসনিক অপরাধ যাতে না ঘটে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।  

সভায় কমিশনের সব মহাপরিচালক ও পরিচালক উপস্থিত থেকে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২০ 
এসএমএকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।