ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মোংলা বন্দরে পণ্য চুরি: চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২০
মোংলা বন্দরে পণ্য চুরি: চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার জব্দ করা কাপড়।

ঢাকা: মোংলা বন্দর থেকে আমদানিকৃত পণ্য (কাপড়) চুরির ঘটনায় একটি চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।  

আমদানিকৃত পণ্য খালাস হওয়ার আগেই মোংলা বন্দরে থাকা কন্টেইনারের তালা খুলে কাপড় চুরি করে অবৈধভাবে সেগুলো ঢাকার ইসলামপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিলো চক্রের সদস্যরা।

চক্রের গ্রেফতার সদস্যরা হলেন-ইসলামপুরের দুই কাপড় ব্যবসায়ী শামসুল আরেফিন, মনির হোসেন, চট্টগ্রামের টেরিবাজারের কাপড় ব্যবসায়ী আবুল কাশেম, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অরুণ এবং মোংলা বেন্দরের লেবার সরদার সাগর।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, পণ্য চোরাই চক্রের সদস্যদের ঢাকার ইসলামপুর চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে ধাপে ধাপে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মোংলা বন্দর থেকে পণ্য (কাপড়) চুরির ঘটনায় তিনটি চক্র একটি সিন্ডিকেট হয়ে কাজ করছিলো। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে বন্দরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, লেবার সরদার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও চোরাই পণ্য বিক্রেতা ঢাকার ইসলামপুর ও চট্টগ্রামের টেরী বাজারের কিছু কাপড় ব্যবসায়ী জড়িত। গ্রেফতার আসামিদের কাছ থেকে আমরা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু সদস্যের নাম পেয়েছি। চক্রের সঙ্গে জড়ি আরও ১২/১৫ জন সদস্য গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। এখন তাদের নাম পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।

গোয়েন্দা পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইসলামপুরের আইটিসি টাওয়ারের আফরোজা টেক্সটাইলের একটি ভাড়া গুদাম থেকে ৯২ হাজার ৬৭২ গজ চোরাই কাপড় জব্দসহ শামসুল আরেফিন ও মনির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
 
জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মেসার্স কে জি এন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি নিলামকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব কাপড় ক্রয় করেছিলো। পরে অনুসন্ধানে এমন প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এরপর আসামিদের তথ্যানুযায়ী চক্রের সদস্য চট্টগ্রামের টেরী বাজারের কাপর ব্যবসায়ী আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, আসামি আবুল কাশেম জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, এসব কাপড় নিলামে নয় মোংলা বন্দরের কন্টেইনারের তালা ভেঙে চুরির পর সেগুলো সরবরাহ করা হতো। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোংলা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অরুসৎনকে গ্রেফতার করা হয়্ এরপর অরুণের দেওয়া তথ্যানুযায়ী বন্দরের লেবারদের সরদার সাগরকে গ্রেফতার করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, এই চক্রটি তিন ভাগে কাজ করতো। একটি মোংলা বন্দরে সেখান থেকে কাপড় চুরি করে তার চট্টগ্রামের টেরী বাজারেরর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তা ঢাকার ইসলামপুর ও নরসিংদীসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হতো।

অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, আমরা এই চক্রটিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছি। তবে গ্রেফতার আসামিদের কাছ থেকে বন্দরের বেশ কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম পেয়েছি। সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২০
এসজেএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।