ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট করে দেবে সরকার’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
‘দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট করে দেবে সরকার’ বক্তব্য রাখছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান

ঢাকা: পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষায় সারাদেশে দরিদ্র মানুষের কাঁচা ও জীর্ণ-শীর্ণ টয়লেটের বদলে সরকার আধুনিক স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি টয়লেট করে দেবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

এজন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি (এসওডি)-২০১৯ বিষয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) সদস্যদের নিয়ে কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরাজ সালাউদ্দিন, উপ-মহাসচিব মো. রফিকুল ইসলাম, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) পরিচালক আহমাদুল হক, বিএসফআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন।

এনামুর রহমান বলেন, গত বুধবার (২৫ নভেম্বর) সংসদীয় কমিটির সভা হয়েছে। সেখানে একটি প্রকল্পের অনুমোদন নিয়েছি। আমরা দেখেছি ওয়াটার এইড, সাজেদা ফাউন্ডেশনসহ অনেক এনজিও স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করে। কিন্তু ক্যাপাসিটি কম। আমরা সারা বাংলাদেশে দেখেছি লাখ লাখ পরিবারে টয়লেটগুলো জীর্ণ-শীর্ণ, কলাপাতা দিয়ে ঢাকা, পলিথিন দিয়ে ঢাকা, পুরনো শাড়ি দিয়ে ঘেরাও করা কাঁচা পায়খানা এখনও আছে।

‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশের যতগুলো পরিবার এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ টয়লেট ব্যবহার করে আমরা সেই টয়লেটগুলো রিপ্লেস করে আধুনিক মানসম্মত স্যানিটারি টয়লেট তৈরি করে দেব। এজন্য প্রথম পর্যায়ে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেব। এরপর সমগ্র বাংলাদেশে সব দরিদ্র-অতি দরিদ্র মানুষের যে টয়লেটগুলো আছে সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত করে দেব। ’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ টয়লেটের কারণে পানি ও মলবাহিত আমাশয়, কৃমিসহ অন্য রোগ ছড়ায়। এটা যদি আমরা করে দিতে পারি তাহলে পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে পারবো এবং কৃমির কারণে যে পুষ্টিহীনতা সেটা প্রতিরোধ করে নতুন প্রজন্মকে পুষ্টিবান হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।

লাওসে একটি কনফারেন্সের আলোচনার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পানিবাহিত রোগের কারণে মানুষ খর্বাকৃতি হয়। আমরা যদি এটা করতে পারি তাহলে মানুষের গ্রোথও ভালো হবে।

এক প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতিও অনেক কমে গেছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের লোকজন অনেক স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছেন। এখানে যে টুকটাক অনিয়মের অভিযোগ আসছে, সেগুলো আমরা..., আগে যে রকম যেখানে সেখানে ব্রিজ করতো রাস্তার খবর নেই বা রাস্তা আছে ব্রিজ নেই, সাইক্লোন সেল্টার হয়েছে ভেঙে গেছে।

‘আগে আসলে কে টেন্ডার নেবে লাভ করবে কীভাবে সেটাই ছিল লক্ষ্য। এখন আমরা সেটা থেকে বেরিয়ে এসেছি। জনগণের কল্যাণের জন্য কোনটা লাগবে সেটা নিয়ে আমরা কাজ করি। আমরা যেন সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেমে এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হতে পারি। সেটা অনেকটা সফল হয়েছি, অনেক স্বচ্ছতা আসছে। ’

উপকূলীয় এলাকা জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূল দিবসে অনেকগুলো দাবি আছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি তিনি বলেছেন ডেল্টা প্ল্যানে যে ছয়টি হটস্পট আছে তার মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ ও এক নম্বরে উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে, জলাবদ্ধতা হয়, বোল্ডারগুলো ভেঙে যায়। এ সমস্ত সমস্যা সমাধানের জন্য উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নের কথা বলা আছে। ১০০ বছরের পরিকল্পনা হলেও প্রধানমন্ত্রী ১০ বছরের মধ্যে সমাধানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। আগামী ১০ বছরের মধ্যে এসব সমস্যার টেকসই ও স্থায়ী সমাধান হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
এমআইএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।