ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এক দলিল লেখকের বিরুদ্ধে দলিল রেজিস্ট্রি করতে জমির খতিয়ান ও খাজনা রশিদ জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় দলিল লেখক মো. সালাউদ্দিন ও জমির প্রথম এবং দ্বিতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সাব রেজিস্ট্রার মো. মিজাহারুল ইসলাম।
সম্প্রতি করা ওই জিডি সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দলিল লেখক মো. জসিম উদ্দিনের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর একটি বিনিময় দলিল (দলিল নম্বর- ৬১৯৩) রেজিস্ট্রি করা হয়। দলিলের জন্য খতিয়ান ও খাজনার রশিদ জাল করার বিষয়টি বুঝতে পেরে থানায় জিডি করেন দলিল লেখক জসিম উদ্দিন। ওই জিডির মাধ্যমে সাব রেজিস্ট্রার জানতে পারেন, দলিলের প্রথম পক্ষ নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুনিয়াউক গ্রামের মৃত আলী রাজার ছেলে মো. সাহাব উদ্দিন ও দ্বিতীয় পক্ষ একই গ্রামের মৃত এ.কে.এম মঈন আলীর স্ত্রী মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন এবং দলিল লেখক সালাউদ্দিনের পরস্পর যোগসাজসে বিএস খতিয়ান এবং খাজনা রশিদ জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য গোপন করে দলিল লেখক জসিমকে দিয়ে দলিলটি রেজিস্ট্রি করান। রেজিস্ট্রিকৃত ভূমিটি ওয়াকফ স্টেটের।
অভিযুক্ত মো. সাহাব উদ্দিন, মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াসমিন ও মো. সালাহ উদ্দিন প্রতারণা করে অসৎ উদ্দেশে সরকারি স্বার্থ ক্ষুণ্নের উদ্দেশে জায়গাটি রেজিস্ট্রি করান বলেও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মিজাহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দলিল লেখক জসিম উদ্দিন জালিয়াতির বিষয়ে থানায় জিডি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি থানা পুলিশকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে দলিল লিখক সালাউদ্দিন বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্যই তিনি (সাব রেজিস্ট্রার) এই মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তিনি কয়েক লাখ টাকা নিয়ে তিনটি ওয়াকফ স্টেটের সম্পত্তির দলিল করেছেন। এসব কাজ আমি কখোনই করিনি। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন আমি এই কাজ করেছি, তাহলে যেকোনো বিচার মাথা পেতে নেব। এ বিষয়ে আমি পত্রিকাতে আরও আগেই বিবিৃতি দিয়েছি।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বাংলানিউজকে বলেন, সাব রেজিস্ট্রারের করা জিডির বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
এনটি