ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের দাবি রাশেদ খান মেনন, কমরেড মাধব কুমার নেপাল, সীতারাম ইয়েচুরি

ঢাকা: সাম্রাজ্যবাদ ও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখার আহ্বান করেছে দক্ষিণ এশিয়ার বামপন্থী দলগুলোর নেতারা।

রোববার (২৯ নভেম্বর) ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে ‘হানড্রেড ইয়ার্স অব কমিউনিস্ট মুভমেন্ট ইন ইন্ডিয়া: দ্য স্ট্রাগল এগেইনস্ট ইমপেরিয়ালিজম অ্যান্ড কমিউনিকেশন ফর সেকুলার ডেমোক্রেটিক সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার থেকে বক্তারা এ আহ্বান জানান।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে ওয়েবিনার পরিচালনা করেন পার্টির পলিটব্যুরোর অন্যতম নেতা কমরেড ড. সুশান্ত দাস। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা।

ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে অংশ নেন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআইএম) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড সীতারাম ইয়েচুরি, নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক নেপালের প্রধানমন্ত্রী কমরেড মাধব কুমার, পাকিস্তান কমিউনিস্ট পাটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক কমরেড ড. আয়াজ মোহাম্মদ, সর্ব ভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের আন্তর্জাতিক কমিটির ইনচার্জ কমরেড জি দেবরাজন।

ওয়েবিনারে কমরেড সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠার পর শতবর্ষ ধরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের কমিউনিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ১৯২০ সালে ভারত উপমহাদেশে কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা হলেও তা পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকাসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বিস্তার লাভ করে। ভারতীয় শাসক গোষ্ঠী বর্তমানে মার্কিন নীতি অনুসরণ করছে। করোনা মহামারিতে চীন, ভিয়েতনাম তাদের সক্ষমতা দেখিয়েছেন শুধুমাত্র সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে।

কমরেড মাধব কুমার বলেন, শতবর্ষে দক্ষিণ এশিয়ায় কমিউনিস্ট আন্দোলন ঐতিহাসিক, দ্বান্দিক ও বস্তুবাদী ধারা পার করেছে। ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব ফেলেছিল। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৪৯ সালে।

কমরেড ড. আয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা হয়, ড. সাজ্জাদ জহির সেই সময় পার্টির নেতৃত্ব দেন এবং গোপনে তিনি শ্রমিক ও কৃষকের মধ্যে পার্টি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। পাখতুন খোয়া ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে পার্টির ভিত্তি তৈরি হয়।

দেবরাজন তার বক্তৃতায় বলেন, ভারতে ১৩টি ট্রেড ইউনিয়নের মধ্যে ১১টিতে বামপন্থীরা নেতৃত্ব দিচ্ছে। এখনো শ্রমিক ও কৃষকদের বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুললেও ভোটের বাক্সে আমরা তার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছি।

সভাপতির বক্তব্যে কমরেড রাশেদ খান মেনন বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদী ধর্মীয় উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তি দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বিস্তার লাভ করছে। এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে দক্ষিণ এশিয়ার সকল বামপন্থী, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
আরকেআর/এইচএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।