ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৯৯৯ নম্বরে মিথ্যা তথ্য দিলে শাস্তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
৯৯৯ নম্বরে মিথ্যা তথ্য দিলে শাস্তি

ঢাকা: জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি করলে শাস্তির বিধান রেখে এ সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ৯৯৯ অপারেট করার জন্য পুলিশের একটি আলাদা ইউনিটও গঠন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নীতিমালা-২০২০’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে সেবা পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী আরও কার্যকর করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ, জননিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা অপরাধ দমন, জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। জনজীবনের সফলতা ও সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করে ইর্মাজেন্সি সার্ভিস পলিসি ৯৯৯ তথা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। ‘এর উদ্দেশ্য হচ্ছে নিরাপত্তা জীবন ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বির্নিমাণে জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংকটাপন্ন মানুষকে যাতে সহায়তা করা যায়, দুর্ঘটনা ও অপরাধ প্রতিরোধ করা যায়। অপরাধের শিকার কোনো ব্যক্তি বা সম্পদ উদ্ধার করা যেনো সহজ হয়। দুর্ঘটনায় নিপতিত মানুষকে যাতে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা এবং জান-মালের উদ্ধারসহ দ্রুততম সময়ে যাতে দুর্গতদের হাসপাতালে পাঠানো ও সেবা দেওয়া যায়। ’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নামে একটি ইউনিট গঠিত হবে। এতে ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তা যিনি জাতীয় জরুরি সেবার প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হবেন।

তিনি জানান, ৯৯৯ নম্বরে যদি কেউ মিথ্যা, বানোয়াট, গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয় তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে অভিহিত হবে। বাচ্চা বা কেউ যদি না বুঝে এ কাজ করে সেটা কনসিডার করা হবে। তবে ইচ্ছা করে যদি কেউ চিট করতে চায় ‘দ্যাট উইল বি পানিশ্যাবল’। সেজন্য রেসপেক্টিভ আইন প্রযোজ্য হবে। মিথ্যা তথ্য দেওয়ার শাস্তি পেনাল কোডে আছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কে কোথায় থেকে কল করছে, সেটা টোটালি ডিটেক্টের ব্যবস্থা থাকবে। সুতরাং কেউ সহজে ফলস কল করতে যাবে না। জরুরি সেবার যে নম্বরগুলো আছে যেমন ৩৩৩, ১০৯- এগুলো সব ইন্টার অপারেটিভিটি হয়ে যাবে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘জরুরি সেবার যে কোনো একটা নম্বরে কল করে যদি কেউ বলে এখানে ডাকাত পড়েছে ওখানে অটোম্যাটিক্যালি কানেক্টেড হয়ে যাবে। ’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী আজকে নির্দেশনা দিয়েছেন এটা খবুই কার্যকর করে দিতে হবে। এ জরুরি সেবাটি মূলত প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের গাইড লাইনে হয়েছে।  

নীতিমালার ফলে এটা এখন আরও অর্গানাইজড ওয়েতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সবার সঙ্গে ইন্সট্যান্ট একটা কমিউনিকেশন সিস্টেম থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।