ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাষ্ট্রের বিরোধিতা করার দুঃসাহস দেখাবেন না: আইজিপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
রাষ্ট্রের বিরোধিতা করার দুঃসাহস দেখাবেন না: আইজিপি বক্তব্য রাখছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ

ঢাকা: রাষ্ট্রের বিরোধিতা করার দুঃসাহস না দেখাতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।  

তিনি বলেছেন, “আমার দেশের স্বাধীনতা, সংবিধান, রাষ্ট্র ও জনগণকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।

১৮ কোটি মানুষ ও রাষ্ট্র মিলে আমরা সবকিছু মোকাবিলা করবো। রাষ্ট্র মহাপরাক্রমশালী। রাষ্ট্রের বিরোধিতা করার দুঃসাহস আপনারা দেখাবেন না। রাষ্ট্রের বিরোধিতা মানে হচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের বিরোধিতা। ”

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।  

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও ভাস্কর্যবিরোধীদের বিরুদ্ধে এ সমাবেশের আয়োজন করে সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম।

বেনজীর বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হামলা সংবিধান, রাষ্ট্র ও এদেশের জনগণের ওপরে হামলা। রাষ্ট্র এ হামলা আইন, বিধিবিধান অনুযায়ী কঠোর হস্তে মোকাবিলা করবে। ”

পুলিশ প্রধান বলেন, “বঙ্গবন্ধু মানেই হচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের সংবিধানের অংশ। বঙ্গবন্ধু আমাদের এ দেশ দিয়েছেন। পতাকা-মানচিত্র ও বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ”

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বারবার দেখতে পাচ্ছি, টেনে-হিঁচড়ে দেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ১৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। ”

দেশের মানুষের আলেমদের প্রতি শ্রদ্ধার কথা স্মরণ করে বেনজীর আহমেদ বলেন, “দেশের মানুষের ঈমাম-আলেমদের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। আলেম, সুফি-সাধকরা এ অঞ্চলের ধর্ম প্রচার করেছেন। তারা কখনোই শক্তি বা তরবারি ব্যবহার করে ধর্ম প্রচার করেননি। ভালোবাসার মাধ্যমে তারা আল্লাহ তাআলার বাণী প্রচার করেছেন। হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ”

আইজিপি বলেন, “ধর্মকে পুঁজি করে অনেকেই রাজনীতিতে জায়গা নিতে চান। দেশটাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মৌলবাদী তকমা দিতে চান। এই শ্রেণির মানুষরা কোন উদ্দেশ্যে কাজ করছেন। আমাদের দেশ তো মৌলবাদী দেশ না। বাংলাদেশ শান্তি প্রিয় দেশ। এক শ্রেণির মানুষ কার ইশারায়, কোন ইঙ্গিতে, কার লক্ষ্যে ও কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য দেশকে মৌলবাদী তকমা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ”

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।