ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে ৪টি খাল খনন করে রাখা হবে বোট পাসের ব্যবস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
বরিশালে ৪টি খাল খনন করে রাখা হবে বোট পাসের ব্যবস্থা

বরিশাল: বরিশালের চারটি খাল খনন করে সেগুলোতে বোট পাসের ব্যবস্থা করা বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম। এর ফলে নদীর পানি শহরের ভেতর ঢুকতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বোটপাস হলো একটি স্টীলের প্লেট যা বোটগুলো যাওয়ার সময় ওপরে ওঠানো হবে এবং চলে গেলে আবার নিচে নামানো হবে। ফলে নদীর পানি শহরের ভেতরে ঢুকতে পারবে না।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনে কালাবদর ও আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।

এসময় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, আমরা ভাটির দেশের মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো নদীগুলোকে শাসন করে তারপরে ব্যবস্থা নেওয়া। যদি আমরা নদী শাসন না করে সাধারণভাবে তীর রক্ষা বাঁধ করি, তাহলে সেগুলো টেকসই হবে না। নদী শাসনের প্রথম কাজ হলো অরিজিনাল নদীর চ্যানেল বরাবর পানি প্রবাহিত করা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বর্ষা মৌসুমের আগেই আমরা বিভিন্ন জায়গাতে তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করেছি। বর্ষার সময় যেগুলো ভেঙ্গেছে সেগুলো মেরামত করেছি। এখন যেসব জায়গায় কাজ বাকি ছিল, বাঁধ দুর্বল ছিল ও নদীর ভাঙ্গন রয়েছে সেগুলো আমাদের প্রকৌশলীরা ঘুরে ঘুরে দেখবে এবং রিপোর্ট দেবে। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো। আমরা চাচ্ছি আগামী বছরের জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্থানে ১০৬ টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলো সম্পন্ন হলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহতা কমে সহনীয় পর্যায়ে আসবে।

তিনি বলেন, প্রশস্থে বড় নদী যেগুলো রয়েছে সেগুলোকে ৫ থেকে ৭ কিলোমিটারের মধ্যে ড্রেজিং করে নিয়ে আসা হবে। আর ড্রেজিংয়ের মাটি দিয়ে আমরা জমি রিক্লেম করবো। সেগুলো আমরা ফসলের জন্য ব্যবহার করবো, কোন বসতি হবে না। এটাকে ফ্লাট প্লেইন হিসেবে ব্যবহার করা হবে। যাতে বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে যে পানি নেমে আসবে তা ড্রেজিং করা নদী ও ফ্লাটপ্লেইনের মধ্যে ধরে রাখা হবে।

জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারি এলাকাতে বাঙ্গালী, করতোয়াসহ বেশ কিছু নদী আছে, যেখানে আমাদের ২১৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনীকে কাজটি দেয়া হয়েছে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে তারা কাজ শুরু করবে। এখানেও আমরা কিছু জমি রিক্লেম করবো। এতে করে ওই এলাকার মানুষ নদীভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকাতেও আমাদের তিন হাজার ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প চলছে।

তিনি বলেন, গত বন্যায় বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি শহরে প্রবেশ করেছে। আমি তখন জেলা প্রশাসককে নিয়ে পরিদর্শন করতে গিয়ে চারটি খালকে মার্ক করেছি। যা নিয়ে সমীক্ষা করতে কারিগরি কমিটিও চলে এসেছে। এ খালগুলো শহরের মধ্যে দিয়েও প্রবাহিত হয়েছে, তাই সিটি করপোরেশনও এখানে যুক্ত হবে। আমরা চাই এ খালগুলো খনন করে চারটি স্থানে বোট পাসের ব্যবস্থা করতে। ফলে নদীর পানি শহরের ভেতর ঢুকতে পারবে না।

নদী ভাঙ্গন পরিদর্শনের সময় তার সাথে ছিলেন শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো. জামাল উদ্দিন, বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মনিবুর রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
এমএস/এইচএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।