ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু প্রশ্নে ‘একাট্টা’ বিচারক-আমলা-পুলিশ-জনতা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
বঙ্গবন্ধু প্রশ্নে ‘একাট্টা’ বিচারক-আমলা-পুলিশ-জনতা

ঢাকা: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মান-মর্যাদা এবং ভাস্কর্য রক্ষার প্রশ্নে দেশব্যাপী এক হয়ে মাঠে নেমেছে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সাধারণ জনতার পাশাপাশি কেবল বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নেই আদালতের বিচারক, সরকারি আমলা তথা সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এক হয়েছে।

শুধু এক নন, জাতির পিতার মর্যাদা রক্ষায় দেশ কাঁপাচ্ছেন তারা।
 
দেশের আমলাদের সংগঠন শনিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকায় বৃহৎ জমায়েত করেছে। সেখানে ছিল সরকারি শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তা-ব্যক্তিরা। ছিলেন চিকিৎসকসহ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।  

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে একই দিনে মাঠে নেমেছে বিচারকরাও। চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও র‌্যালি করেছেন চট্টগ্রামের ১০০ বিচারক।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ঢাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। এছাড়াও দেশব্যাপী নানা সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বঙ্গবন্ধুর অবমূল্যায়নের প্রতিবাদেই।

ঢাকায় ২৯ ক্যাডারের সমাবেশ

শনিবার দুপুরে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতির পিতার সম্মান/রাখবো মোরা অম্লা’ শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, আমাদের কাছে টুলস আছে- আমরাই পুলিশ, ডাক্তার, ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারক। আমরা সবাই এক থাকলে জাতির পিতার নামের অবমূল্যায়ন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আহমদ কায়কাউস বলেন, আমরা এ দেশের জনগণের সেবক। এই সেবা করার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিসিএসে ২৯টি ক্যাডার পদ সৃষ্টি করে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের দায়িত্ব সংবিধানকে সমুন্নত রাখা। কোথাও অন্যায় হলে প্রতিবাদ করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের সবাইকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, আমাদের জীবদ্দশায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসম্মান হতে দেব না।

তিনি বলেন, কয়েকদিন পরেই আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি। এই সময়ে মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙা অশুভ প্রয়াস। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এইসব অশুভ প্রয়াস প্রতিহত করতে হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি স্বাধীনতার ৫০ পূর্তিকালেও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবিধানিকভাবে জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রাণের স্পন্দন। বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গে মিশে আছে আমাদের আবেগ-অনুভূতি ও স্পন্দন। জাতীয় ঐক্যের প্রতীক বঙ্গবন্ধু। তিনি স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কেউ যখন কথা বলে আমাদের প্রাণে লাগে। এ ব্যাপারে দেশের ১৭ কোটি মানুষের দ্বিমত থাকার কথা নয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো প্রকার অপমান, অবজ্ঞা সহ্য করব না, মেনে নেব না।

একই সমাবেশে মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হামলা সংবিধান, রাষ্ট্র ও এদেশের জনগণের ওপরে হামলা। রাষ্ট্র এ হামলা আইন, বিধিবিধান অনুযায়ী কঠোর হস্তে মোকাবিলা করবে।

পুলিশ প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই হচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের সংবিধানের অংশ। বঙ্গবন্ধু আমাদের এ দেশ দিয়েছেন। পতাকা-মানচিত্র ও বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

চট্টগ্রামে রাস্তায় বিচারকরা

সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারকদের নগরের দামপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন শেষে জেলা দায়রা জজ আদালত মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে আজ সারা বাংলাদেশ বিক্ষুব্ধ, বিচারকরাও তার অংশ। বিচারকরা বিচার করবে, একই সঙ্গে প্রতিবাদও করবে। নাগরিক হিসেবে বিচারকেরও দায়িত্ব আছে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হওয়ার।

চট্টগ্রামের প্রায় ১০০ বিচারক মানববন্ধন ও র‌্যালিতে অংশ নিয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, আমরা দেশবাসীকে জানাতে চাই বিচারকরা শুধু বিচার করেন না, প্রতিবাদও করতে জানেন। জাতির জনকের প্রশ্নে বিচারকদের সামনে আপস করার কোনো সুযোগ নেই। জাতির জনকের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব।

৬৪ জেলার ব্যবসায়ী নেতারা মানববন্ধনে

বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার প্রতিবাদে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মানববন্ধনে এফবিসিসিআই মানববন্ধনের আয়োজন করে। অনলাইনে চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাহমুদসহ দেশের ৬৪ জেলার ব্যবসায়ী নেতারা এ মানববন্ধনে অংশ নেন।  

ঢাকায় মানববন্ধনে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আঘাত করা মানে এ দেশকে ও স্বাধীনতাকে আঘাত করা। কোনো মহল ধর্মকে ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করবে এটা আমরা সহ্য করবো না, মেনে নেবো না।

ফজলে ফাহিম বলেন, আজ আমরা দেশের ৬৪ জেলাসহ ঢাকাকেন্দ্রিক বেসরকারি ব্যবসায়ী সংগঠন একত্রিত হয়েছি বঙ্গবন্ধুর অবমাননার প্রতিবাদে। জাতির জনকের অবমাননা বাংলাদেশের আপামর জনতা ও ব্যবসায়ীরা কখনো গ্রহণ করে নেবে না।

তিনি বলেন, চারদিন পর বাংলাদেশ ৫০ বছরে পর্দাপণ করবে। এসময় কিছু ব্যক্তির স্বার্থে দেশের যুব সমাজকে ভুল পথে পরিচালিত করা হচ্ছে। আর বিএনপি-জামায়াতের ২০ দলের নেতারা আমাদের সম্মানিত আলেম সমাজের লেবাসের আড়ালে আমাদের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমরা বেসরকারি খাত এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আজকের এই প্রতীকী মানববন্ধন শুধু সতর্কবার্তা, গর্জন শোনা এখনও বাকি।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সামস মাহমুদ, রিহ্যাবের প্রেসিডেন্ট শামসুল আলামিন, বিজিএমইএ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান কচি, বায়রার প্রেসিডেন্ট বেনজির আহমেদ, এমসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নিহাদ কবিরসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি

বঙ্গবন্ধুর জেলা গোপালগঞ্জে বিচারকরসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বঙ্গবন্ধুকে অবমানার প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। শহরের শেখ ফজলুল হক মণি অডিটোরিয়ামে ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’প্রতিপাদ্যে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলার ডিসি শাহিদা সুলতানা।

এ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ অমিত কুমার দে, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদসহ বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা।

বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে কুষ্টিয়া জেলার সব সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবীর বিন আনোয়ার, জেলার ডিসি আসলাম হোসেন, জেলা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী, পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর ইসলামসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ফরিদপুরে চেম্বারের উদ্যোগে মানববন্ধনে জেলার ডিসি অতুল সরকারের সভাপতিত্বে জেলা ও দায়রা জজ সেলিম মিয়া, পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোশাররফ আলী, প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী বক্তব্য রাখেন।

কুড়িগ্রাম জেলার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে শনিবার। কলেজ মোড়ের শেখ রাসেল পৌর অডিটোরিয়ামে এ প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলার ডিসি মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

এ সময় বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এবং নারী ও শিশু জজ অম্লান কুসুম বিষ্ণু, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, এডিসি (রাজস্ব) জিলুফা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুজাউদ্দৌলা, সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

নওগাঁয় সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। শহরের গোস্তহাটির মোড়ে এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে নওগাঁ চেম্বারের সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টুনু, পরিচালক জাহিদুল হাসান জুয়েল, পরিচালক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য় ভাঙচুরের প্রতিবাদে নীলফামারীতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্য়ালয়ের সভা কক্ষে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ডিসি হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ রেজাউল করিম সরকার, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মাহাবুর রহমান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহেদুল হক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান প্রমূখ।

খুলনায় শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিবাদ সমাবেশ। সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ সরকারি কর্মকর্তারা মৌন পদযাত্রা করে শহীদ হাদিস পার্কে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, খুলনা জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী, খুলনার ভারপ্রাপ্ত ডিসি ইকবাল হোসেন, পুলিশ সুপার শফিউল্লাহসহ জেলা ও বিভাগীয় দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ‘বঙ্গবন্ধুর বালু ভাস্কর্য’নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন জেলার ডিসি মো. কামাল হোসেন। শহরের কবিতা চত্বর সরণীস্থ নির্মাণাধীন শিশু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক অবিচ্ছেদ্য নাম। বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করা মানেই মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকেই অস্বীকার করার শামিল। জাতির পিতার ভাস্কর্য যারা ভেঙেছে তারা রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করেছে। এসব অপরাধীরা দেশ ও জাতির শত্রু। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ধরণের যেকোনো অপশক্তিকে রুখে দিতে বদ্ধপরিকর।

এছাড়াও, নরসিংদী, কুমিল্লা, মাগুরা, কক্সবাজার, বগুড়া, রাজশাহী, ভোলাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
এমআইএইচ/ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।