ঢাকা, বুধবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে সক্রিয় জাল টাকা তৈরি চক্র, আটক ৯

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে সক্রিয় জাল টাকা তৈরি চক্র, আটক ৯

ঢাকা: আসন্ন থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল টাকা এবং রুপি তৈরির চক্র। রাজধানীর জুরাইনে অভিযান চালিয়ে জাল মুদ্রা তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এ সময় বিপুল পরিমাণ জাল মুদ্রাসহ নয়জনকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর জুরাইনের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে জাল মুদ্রা তৈরির ওই কারখানার সন্ধান পায় ডিবি গুলশান বিভাগ।

আটকরা হলেন- জাকির হোসেন, বাদল খান, জাহাঙ্গীর আলম, জসিম উদ্দিন, মালেক ফরাজী, শিহাব, ওবায়দুল, জামাল ও একজন নারী। এ সময় তাদের কাছ থেকে আসল চার লাখ পাঁচ হাজার টাকা, ২০ লাখ জাল ভারতীয় রুপি, ৩২ লাখ বাংলাদেশি জাল টাকা এবং রুপি তৈরির বিপুল পরিমাণ বিশেষ ধরনের কাগজ, নিরাপত্তা সুতা, বিভিন্ন ধরনের রং, কেমিক্যালস, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, লেমিনেশন মেশিন ও কাটার উদ্ধার করা হয়।

ডিবি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আসন্ন থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে দেশের কুখ্যাত জাল টাকা ও রুপি তৈরি এবং বিপণনকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীরর জুরাইনের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে নয় জনকে আটক করা হয়েছে। ওই কারখানা থেকে বিভিন্ন রকমের ডাইসসহ জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়েছে। যা দিয়ে আরও কয়েক কোটি জাল টাকা ও রুপি তৈরি করা সম্ভব।

ডিবি জানায়, জাল টাকা চক্রের বিভিন্ন সদস্য বাংলাদেশের বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলা, গাজীপুর জেলা এবং ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে জাল টাকা তৈরি করে আসছিলেন। আসন্ন থার্টিফার্স্ট উপলক্ষে জাল রুপি এবং টাকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা মহানগরীর জুরাইন এলাকার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে তারা এ কাজ করছিলেন।

আটক প্রায় সবার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এর আগেও তারা কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছে। জামিনে বের হয়ে তারা আবারও জাল টাকা এবং রুপি তৈরি করছিলেন।

আটক জাকির একজন হাতুড়ে ইঞ্জিনিয়ার এবং জাল টাকা ও রুপি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানের অধিকারী কারবারি। ওবায়দুল ও জসিম এ জাল টাকা তৈরির কারখানায় বিশেষ কাগজ, নিরাপত্তা সুতা তৈরি এবং অন্য কাজ করতেন। বাদল ঢাকা, সাভার ও মানিকগঞ্জের পাইকারি ডিলার। শিহাব রাজধানীর পাইকারি ডিলার। সাগর নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে ডিলার। বরিশালসহ দক্ষিণ অঞ্চলে জালনোট সরবরাহকারীদের মূল হোতা জামাল।

এদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গার খোলা বাজার, বিপণী বিতান, যানবাহনের চালক ও হেলপারদের বিভিন্ন কৌশলে ধোঁকা দিয়ে জাল টাকা বিক্রি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ডিসি মশিউর।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
পিএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।