ঢাকা: সরকার এ পর্যন্ত নদীর পাড়ের উনিশ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বলে সংসদীয় কমিটিতে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি নদীর সীমানার মধ্যে সরকারি বা বেসরকারি কোনো সংস্থাকে জমি বরাদ্দ না দিতে কমিটি গুরুত্বারোপ করেছে।
বোববার (২৭ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের ‘নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৬তম বৈঠকে এ গুরুত্বারোপ করা হয়। কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তমের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শাজাহান খান, রনজিত কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর এবং এস এম শাহজাদা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এর বিভিন্ন কার্যক্রম এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর সকল উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশে জমাটবাধা পলিথিন অপসারণ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। গ্রেভ ড্রেজার সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে এ কার্যক্রম শুরু করার জন্য মন্ত্রণালয়কে কমিটি সুপারিশ করে।
বৈঠকে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ৮টি বিভাগের ৬৪টি জেলার নদীগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে তার বাস্তব অবস্থা কমিটিতে উপস্থাপন করেন এবং এ পর্যন্ত উনিশ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে কমিটিকে অবহিত করেন।
বৈঠকে নদীর সীমানার মধ্যে সরকারি/বেসরকারি কোনো সংস্থার নিকট জমি বরাদ্দ/লিজ না দেওয়ার বিষয়ে কমিটি গুরুত্বারোপ করে। এছাড়া, নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজে সহযোগিতা করার জন্য হাইকোর্ট ডিভিশন যাতে নদী দখলদারদের আপিল দ্রুত নিষ্পত্তি করে সে বিষয়ে নদী রক্ষা কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে নদী রক্ষা কমিশন এবং বিআইডব্লিউটিএকে উচ্ছেদ অভিযানে আর্থিক ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বিআইডব্লিউটিএ এর অনুমতি ছাড়া যত্রতত্র ড্রেজিং না করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে।
বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, নদী রক্ষা কমিশন এবং বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
এসকে/এইচএডি/