ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাষ্ট্রীয়ভাবেই রাজশাহীর সব বন্ধ কারখানা চালুর দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
রাষ্ট্রীয়ভাবেই রাজশাহীর সব বন্ধ কারখানা চালুর দাবি

রাজশাহী: বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে বন্ধ হয়ে যাওয়া সব কল-কারখানা আধুনিকায়ন করে পুনরায় রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য (এমপি) ফজলে হোসেন বাদশা।  

তিনি বলেন, রাজশাহীতে শিল্প-কারখানা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্রমাগত নিঃস্ব হচ্ছে।

শুধুমাত্র ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এ অঞ্চলের কর্মসংস্থান হতে পারে না। রাজশাহীর খেটে খাওয়া মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় বন্ধ থাকা সব কল-কারখানা চালু করা আমাদের দাবি।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি মোড়ে পাটকল, টেক্সটাইল মিল, চিনিকল ও আখচাষিদের রক্ষার দাবিতে আয়োজিত এক পদযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটি এ পদযাত্রার আয়োজন করে।

পদযাত্রাটি মহানগরের আলুপট্টি থেকে শুরু হয়ে মহানগরীর সাহেব-বাজার এলাকার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে লক্ষ্মীপুর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।

ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, করোনাকালে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে লুটপাটকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে। রাজশাহীতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রার সহযোগী হিসেবে চারটি শিল্প প্রতিষ্ঠিত ছিল। সেগুলো হলো-পাট শিল্প, চিনি শিল্প, টেক্সটাইল মিল ও রেশম শিল্প। পর্যায়ক্রমে সবগুলোই ধ্বংস করে দেওয়া হয়। আমরা রেশম শিল্পটাকে চালু করার চেষ্টা করছি। গতকালও রেশম কারখানার ১৯টি লুম চালু করা হয়েছে। এ অঞ্চলে পাটকল, চিনিকল বন্ধ হলে শুধুমাত্র শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়, আখচাষিরাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি বলেন, রাজশাহীতে নতুনভাবে কল-কারখানা গড়ে তোলার সরকারি কোনো পরিকল্পনা দেখি না। রাজশাহীর একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমি বলতে চাই, রাজশাহীতে পাটকল, চিনিকলসহ সব কারখানা আধুনিকায়ন করে চালু করতে হবে। রাষ্ট্রীয় মালিকানায় এসব চালু করার মধ্যদিয়ে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এসব যদি চালু না করা হয় তবে কারখানার শ্রমিকরা কোথায় যাবে, কি খাবে তার সমাধান দিতে হবে। রাজশাহীর মানুষ কি শুধু ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাবে, তাদের স্থায়ী কোনো কাজের ব্যবস্থা করা হবে না- এইটা কখনও সুষম উন্নয়ন হতে পারে না।

রাজশাহীর গণমানুষ তাদের দাবি নিয়ে বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তুলবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে রাকসুর এ সাবেক ভিপি বলেন, রাজশাহীর অর্থনীতিকে গতিশীল এবং এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের স্থায়ী কর্মের জন্য শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার বিকল্প নেই। ওয়ার্কার্স পার্টি সবসময় গণমানুষের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে বদ্ধপরিকর। সাধারণ মানুষ যদি তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলে, আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি।

পদযাত্রা শেষে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু, আবু সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
এসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।