ঢাকা: তামাক নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী পরিকল্পানা ও তহবিল যোগানের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, দ্য ইউনিয়ন এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সম্মেলন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

সম্মেলনে তামাক নিয়ন্ত্রণে আর্থিক যোগান, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনের দূর্বলদিক ও সংশোধন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন, তামাকের ওপর কর বাড়ানো, তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ ও তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সব নীতি সুরক্ষার ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা করা হয়।

সম্মেলনে সরাসরি ও ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) কাজী জেবুন্নেছা বেগম, জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতির সভাপতি মোজ্জাফ্ফর হোসেন পল্টু, ন্যাশনালহার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালেক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রাণ গোপাল দত্ত, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর মহাপরিচালক  স ম গোলাম কিবরিয়া, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল সমন্বয়কারী (যুগ্ম সচিব) মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

সম্মেলনে ঢাবির সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ১৪ গুণ বেশি। ক্রমবর্ধমান রোগের জন্য জনসাধারণকে মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়া রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলা অত্যন্ত জরুরি। রাজস্ব আয়ের দোহাই দিয়ে তামাকের প্রসারের সুযোগ বন্ধ করতে হবে।

সম্মেলনে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে কম তামাকের কর বাংলাদেশে। এ কর কাঠামো দিয়ে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। তামাক নিয়ন্ত্রণে তামাকের কর বাড়ানোর বিকল্প নেই। ইসিগারেট বন্ধে পাশ্ববর্তী দেশগুলো কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। ইসিগারেটের ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। তামাক কোম্পানিগুলো নীতি নির্ধারণ পর্যায়ে প্রভাব বিস্তারের কারণে সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সম্মেলনে সারাদেশ থেকে ১২০টি সংগঠনের ১৫০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে চারটি অধিবেশনে মোট ছয়টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
আরকেআর/আরআইএস