ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২১
কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৬) পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার প্রেমিক মিঠু সরদারের স্বজনদের বিরুদ্ধে।  

মিঠু সরদার বালিয়াকান্দি উপজেলার সোনাপুর (পেড়াপাড়া) এলাকার ইয়াকুব সরদারের ছেলে।

তিনি ঢাকায় বিমান বন্দরে কার্গো বিভাগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করেন।

বাবার মৃত্যুর পর মায়েরও অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় ওই মাদরাসা ছাত্রী তার নানার বাড়িতে থেকে মাদরাসায় পড়ালেখা করে।

জানা গেছে, গত ২৭ ডিসেম্বর মিঠু ওই কিশোরীকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে  পাশের খোলা মাঠে মধ্যরাত পর্যন্ত অবস্থান করেন। পরে মিঠু মেয়েটিকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে রাত্রীযাপন করেন। সকালে মিঠুর পরিবারের সদস্যরা ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বললে সে যাবে না বলে জানায়। তারা জোর করে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাইলে মেয়েটি রাজি না হয়ে মিঠুর সঙ্গে তাকে বিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়। তাতে রাজি না হয়ে মিঠুর স্বজনরা মেয়েটিকে চড়-থাপ্পর মারেন। একপর্যায়ে মেয়েটির গায়ে থাকা চাদরে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। এসময় মেয়েটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। এরপর মিঠুর বড় চাচা আব্দুল খালেক সরদার মেয়েটির নানার সঙ্গে কথা বলে মিঠু ও মেয়েটির বিয়ের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েটিকে তার নানার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। আগুনে মেয়েটির চাদরের কিছু অংশ পুড়ে যায় এবং তার এক হাতে ছ্যাকা লাগে।

এদিকে, ঘটনার কয়েক দিন পার হলেও তাদের বিয়ের ব্যবস্থা না করায় মাদরাসা ছাত্রী ও তার নানা বিষয়টি নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাসান আলীকে জানান। তার কথামতো বালিয়াকান্দি থানায় অভিযোগ করার পর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওহিদুজ্জামান ছাত্রীটির বাড়িতে এসে এ বিষয়ে কথা বলেন।  

মেয়েটির নানার অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসান আলী উভয়পক্ষকে ডেকে সালিশ করেন। ওই সালিশে অভিযুক্ত মিঠু সরদারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিয়ে না দিয়ে জরিমানা করায় ওই মাদরাসা ছাত্রী ও স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হলেও পরে সালিশ থেকে জরিমানার ২৫ হাজার টাকা ছাত্রীর নানাকে নিতে বাধ্য করা হয়। এরপর থেকেই একটি প্রভাবশালী মহল নানাভাবে ওই ছাত্রী ও তার স্বজনদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। এ বিষয়ে এলাকার কেউই মুখ খুলতে চাচ্ছেন না।

সোনাপুর সমাজ পরিবেশ রক্ষা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব প্রভাষক সাইফুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে তাদের কাছে অভিযোগ করলে, তারা মেয়েটিকে আইনি সহায়তা দেবেন।  

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এ বিষয়ে কোনো মামলা হয়নি। মামলা করলে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২১
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।