ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৩১ নৌরুটের মধ্যে ৪টিতে রয়েছে পর্যাপ্ত গভীরতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
৩১ নৌরুটের মধ্যে ৪টিতে রয়েছে পর্যাপ্ত গভীরতা

বরিশাল: দক্ষিণাঞ্চল তথা বরিশালের নৌরুটে পর্যাপ্ত পানির গভীরতার অভাব রয়েছে। যার ফলে নৌযান চলাচলে বিঘ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে।

 

সম্প্রতি করা ‘বরিশাল বিভাগের নদীসমূহের নাব্যতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা হ্রাস, জলাভূমি বাস্তু পুনরুদ্ধার, সেচ ও ল্যান্ডিং সুবিধাদি বৃদ্ধি করে নদী ব্যবস্থাপনার সম্ভাব্যতা যাচাই’ শীর্ষক সমীক্ষায় এ বিষয়টি সামনে আসে।

যেখানে বরিশাল বিভাগের ৩১টি নৌরুটের মধ্যে মাত্র চারটিতে পর্যাপ্ত গভীরতা রয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে এর বাইরে যদিও ১২ ও ২৪ নেভিগেশন রুট প্রকল্পের আওয়তায় তিনটি রুট রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং এবং একটি রুট বিআইডব্লিউটিএ’র প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের আওতায় এরইমধ্যে রয়েছে।

এছাড়া বাকি ২২টি রুটের প্রধান সমস্যা নৌযান চলাচলে পর্যাপ্ত পানির গভীরতার অভাব। তবে ২২টির গোটা পথজুড়েই যে এমন সমস্যা রয়েছে তাও আবার নয়, বিশেষ বিশেষ জায়গাতে গভীরতার অভাব রয়েছে। যেমন বাকেরগঞ্জ-মির্জাগঞ্জ ৩৫ কিলোমিটারের এ রুটে রামপুর ব্রিজ থেকে ভাটিতে নৌযান চলাচলে পর্যাপ্ত পানির গভীরতার অভাব রয়েছে। আবার বরিশাল-ঝালকাঠি-বরগুনা-পাথরঘাটা ১১৭ কিলোমিটারের এ রুটে নিয়ামতি ও মোকামিসয়া ঘাটের সামনে পর্যাপ্ত পানির গভীরতার অভাব রয়েছে। এ রকম হিজলা-সাতহাজার বিঘা-বরিশাল ৬১ কিলোমিটার এ রুটের আজিমপুর নদীতে, ভাণ্ডারিয়া পশারিবুনিয়া-ইকরি-তুষখালি ৩৬ কিলোমিটার রুটের ভাণ্ডারিয়াসহ বিভিন্ন রুটের বিভিন্ন স্থানে পানির গভীরতার অভাব রয়েছে।

সমীক্ষা প্রকল্পের সংক্ষিপ্তকরণ বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, ৩১টি রুটের মধ্যে বাকেরগঞ্জ থেকে মির্জাগঞ্জ ৩৫ কিলোমিটার রুটের সীমান্তনালা নদী বাকেরগঞ্জে শুকিয়ে গেছে। ভাণ্ডারিয়া থেকে পশারিবুনিয়া ও ইকরি হয়ে তুষখালি পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার রুটের পোনাদন নদী পাশারিবুনিয়া থেকে ইকরি পর্যন্ত শুকিয়ে গেছে। এছাড়া গাবখান থেকে ধানসিড়ি-রাজাপুর হয়ে নিয়ামতি বাজার পর্যন্ত ২৬.৫ কিলোমিটার রুটের রাজাপুরে ধানসিঁড়ি নদীও শুকিয়ে গেছে।

এসব নদী ড্রেজিং বা খনন করার উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবনায়। তবে আঙ্গারিয়া থেকে মির্জাগঞ্জ ২২.৫ কিলোমিটার রুটের বুড়িশ্বর-পায়রা নদীতে ভাঙন প্রবণতা বেশি হওয়ায় সেখানে চর ড্রেজিং ও নদী তীর প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নদী ভাঙন রোধের প্রস্তাব করা হয়েছে।  

যার মধ্য দিয়ে স্থান ভেদে নৌযান চলাচল বৃদ্ধি, অন্যান্য নৌরুটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন, জলাবদ্ধতা রোধ, নদী পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রকিবুল ইসলাম তালুকদার।

এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল নগরের সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে বিআইডব্লিউটিএ’র আয়োজনে বিভাগীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন- বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান  গোলাম সাদেক, বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক জোহর আলী, বরিশালের পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।