ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বারিন্দ মেডিক্যাল হোস্টেলে ভারতীয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২১
বারিন্দ মেডিক্যাল হোস্টেলে ভারতীয় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

রাজশাহী: রাজশাহীতে গলায় ফাঁস দিয়ে বেসরকারি বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত এক ভারতীয় শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।  

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার পর যে কোনো সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

ওই শিক্ষার্থীর নাম ইকবাল জাফর শরীফ (২৪)। তার বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। বাবার নাম মোজাম্মেল হোসেন পিন্টু। ইকবাল জাফর বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ঘটনার পর রাজশাহী বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. বিকে দাম সাংবাদিকদের বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে ইকবাল ভারতেই অবস্থান করছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি বাংলাদেশে এসে রাজধানী ঢাকায় তার এক বন্ধুর কাছে ছিলেন। গত বুধবার (২০ জানুয়ারি) তিনি রাজশাহী গিয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত হোস্টেলে থাকার জন্য ওঠেন।  

হোস্টেলে আগে প্রতি কক্ষে দু’জন বিদেশি শিক্ষার্থী থাকলেও এখন করোনা পরিস্থিতির কারণে একজন করে শিক্ষার্থী রাখা হয়। রাতে সবার অজান্তে ইকবাল জাফর তার নিজের হোস্টেলকক্ষেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

অধ্যক্ষ আরও বলেন, সন্ধ্যার পর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই বাইরে যান। রাতে তারা ফিরে ইকবালকে সিলিং ফ্যানে ঝুলতে দেখেন। এরপর তারাই মরদেহ নামিয়ে হোস্টেল থেকে প্রায় ১৫০ গজ দূরে থাকা বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। কিন্তু জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা যায়, ইকবালের মানসিক সমস্যা ছিল। এর আগে দু’বার তাকে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়। তার আত্মহত্যার বিষয়টি ভারতে তার মামা এবং রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের কার্যালয়ে জানানো হয়েছে। হাসপাতালে পুলিশও আছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন বলেও জানান কলেজ অধ্যক্ষ ডা. বিকে দাম।

মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মুনীর জানান, খবর পেয়ে তারা কলেজের হোস্টেলে পৌঁছেছেন। বর্তমানে মৃতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। হোস্টেলের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে চাদর পেঁচিয়ে ইকবাল আত্মহত্যা করেছেন বলে তারা কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে জেনেছেন। এখন এ ব্যাপারে অন্য শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  

সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষ হলে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে। এছাড়া এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২১
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।