ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

করোনার ভ্যাকসিনে জনগণের অধিকার আগে: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
করোনার ভ্যাকসিনে জনগণের অধিকার আগে: তথ্যমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটির সদস্যরা। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস রোধে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে জনগণের অধিকার আগে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  

তিনি বলেন, যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার বা যাদের পাওয়া খুবই জরুরি, তারা পাওয়ার পর নিজের করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার অধিকার।

যদিও ৫৫ বছরের বেশি বয়স্করা ভ্যাকসিন পাবেন। আমি ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের নেতৃত্বে নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা।  

আপনি কবে করোনার ভ্যাকসিন নিচ্ছেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার ভ্যাকসিন প্রায়োরিটি অনুযায়ী আমার অবস্থান কোথায়, তা আমি জানি না। তবে যারা প্রায়োরিটি লিস্টে আছেন, তারাইতো পাবেন প্রথমে। তালিকার মধ্যে একটি জিনিস দেখেছি, ৫৫ বছরের বেশি বয়স্করা ভ্যাকসিন পাবেন। আমার বয়স ৫৫ এর বেশি। আমি ভ্যাকসিন পাওয়ার যোগ্য।  

তিনি বলেন, আমি মনে করি, দেশের যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার, তারাই পাওয়ার অধিকার রাখেন প্রথমে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণকে দেওয়ার পর আমরা নেবো। তো আমিও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, জনগণকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার বা যাদের ভ্যাকসিন পাওয়া খুবই জরুরি, তারা পাওয়ার পর আমাদের অধিকার।  

এদিকে বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার। আট সপ্তাহের ব্যবধানে এ ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিতে হবে। বাংলাদেশে যেহেতু এ ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী প্রথম দফায় ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তির ওপর এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার দ্বিতীয় দিন সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া দিনের প্রথম ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ ও মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ানসহ মোট ৪০০ জন ভ্যাকসিন নেবেন। এছাড়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১০০ ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৬০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তাকে প্রথম টিকা দেওয়ার মাধ্যমে করোনার ভ্যাকসিন দান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সব মিলিয়ে পাঁচ হাসপাতালে নির্দিষ্ট পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার হবে। এর মধ্যে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী একটি বুথ, বাকি চারটি হাসপাতালে চারটি করে বুথ বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন দেওয়ার পর এ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ ক’দিন ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে আবার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
জিসিজি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।