নাটোর: নাটোরের হালতিবিলে কৃষকের বহুল প্রতীক্ষিত বোরো ধানকাটা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসতে শুরু করেছে ধানকাটার শতশত শ্রমিক।
বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে হালতিবিলে আগত শ্রমিকদের মধ্যে সুরক্ষাসামগ্রী ও শুকনো খাবার বিতরণসহ বোরো ধান কাটা মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, কৃষকরা হচ্ছেন দেশের প্রাণ। তাদের শ্রমের বিনিময়ে আজ দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আর কৃষকদের পাশে রয়েছেন বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়াসহ ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রাংশ কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করছেন। ফলে উত্তরোত্তর কৃষকদের উন্নয়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে করোনার প্রথম ধাপ মোকাবিলা হয়েছিল। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ধাপে মহামারি আকার ধারণ করেছে। দেশে করোনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এসব নির্দেশনা মানলে করোনার অনেকটাই মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। তাই কৃষক-শ্রমিক সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মানার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কৃষি কর্মযজ্ঞে শ্রমিকদের যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য করোনার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী ও খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাদিম সারোয়ার, নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুব্রত কুমার সরকার হালতিবিলে বোরো ফসল পরিদর্শনসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শ্রমিকদের খোঁজখবর নেন। একইসঙ্গে তাদের হাতে তুলে দেন স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী সাবান, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও শুকনো খাবার । এছাড়া করোনা থেকে নিজেদের সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেন তারা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. রাকিবুল হাসান, নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফোজিয়া ফেরদৌস, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ কিশোয়ার হোসেন প্রমুখ।
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ধানকাটা শ্রমিকদের সহযোগিতা দেওয়া হবে। তারা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ কর্ম করতে পারে, সে ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে। সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেদিন বিবেচনা করে ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত হালতিবিলে অবস্থানরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাবান, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, প্রথম দিন ২০০ জন শ্রমিককে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২১
আরআইএস