ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দেশব্যাপী ভূমি অফিস নির্মাণের অগ্রগতি ৭ বছরে ৬৫ শতাংশ

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২১
দেশব্যাপী ভূমি অফিস নির্মাণের অগ্রগতি ৭ বছরে ৬৫ শতাংশ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রকল্প অনুমোদনের সাত বছরে সমগ্র বাংলাদেশের ১৩৯টি উপজেলা অফিস ও ৫০১টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণের অগ্রগতি মাত্র ৬৫ শতাংশ। প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পন্ন করতে আরো সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

 

৫৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি জুলাই ২০১৪ থেকে জুন ২০১৯ মেয়াদে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। পরে প্রথম সংশোধিত প্রকল্পের মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৭৪৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু এই সময়েও প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় মেয়াদ ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এই মেয়াদেও প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।  

ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন-১) এস. এম. গোলাম রব্বানী বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের কাজ চলমান। কিন্তু করোনার কারণে কাজ কাঙ্খিতভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য আরো কিছু সময় প্রয়োজন। সময় বাড়ানোর প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

প্রকল্পের অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। ৬ মাসে শতভাগ বাস্তবায়ন হবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টায় আছি। তারপরও দেখা যাক করোনার কী অবস্থা হয়। সরকারের ফান্ডিং থেকে শুরু করে করোনা ভাইরাস সব কিছুই এলোমেলো করে দিয়েছে।

নানা কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়েছে বলে জানায় ভূমি মন্ত্রণালয়। বিদ্যমান কোভিড পরিস্থিতিতে একনেক অনুশাসনের আলোকে প্রকল্পের মেয়াদ জুন ২০২১ পর্যন্ত এক বছর বৃদ্ধি করা হয়। তবে মামলা, জমির স্বল্পতাসহ নানাবিধ জটিলতার কারণে প্রকল্পের মেয়াদকালে অর্থাৎ জুন ২০২১ সালের মধ্যে ৫টি উপজেলা ভূমি অফিস এবং ৬টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা সম্ভব হবে না। এই ৫টি উপজেলা ও ৬টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পরিবর্তে নতুন ৫টি উপজেলা ও ৬টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

নানা কারণে প্রকল্পের কাজ সংশোধন করা হচ্ছে। জমি না পাওয়ার কারণে গুলশানের পরিবর্তে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া, তেবগাঁওয়ের পরিবর্তে মঠবাড়িয়া, শরীয়তপুর সদরের পরিবর্তে শিবচরে, মতিঝিলের পরিবর্তে সাতক্ষীরা কলারোয়া, লালবাগের পরিবর্তে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে।

জমি না পাওয়ার কারণে যশোর চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের পরিবর্তে ময়নসিংহের ধানিখোলা ইউয়িন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে। এছাড়া একইভাবে যশোরের গদখালীর পরিবর্তে পিরোজপুরের ভিটাবাড়িয়া, সিলেটের প্রয়াগ মহল ইউনিয়নের পরিবর্তে মাদারীপুরের দত্তপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ঢাকা ডুমনি ইউয়িনের পরিবর্তে চাঁদপুরের সুচিপাড়া উত্তর ইউনিয়ন ও কুমিল্লার বিপুলাসার ইউনিয়নের পরিবর্তে নেত্রকোনার গাগলাজুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে। মুন্সিগঞ্জের মলখানগর ইউনিয়নের পরিবর্তে ঝিনাইদহের নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২১
এমআইএস/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।