ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কুমিল্লা-লাকসাম ডুয়েলগেজের উদ্বোধন শনিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
কুমিল্লা-লাকসাম ডুয়েলগেজের উদ্বোধন শনিবার ফাইল ছবি

কুমিল্লা: শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা-লাকসাম রেললাইনের ডুয়েলগেজ উদ্বোধন করা হবে। রেলপথে ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-সিলেট, ঢাকা-নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহে যাতায়াতে ২০ মিনিট সময় কমে আসবে।

শনিবার রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ ডুয়েলগেজ উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ সময় তিনি জানান, শুক্রবার সকালে রেলমন্ত্রী চট্টগ্রাম অবস্থান করবেন। সেখানে তিনি কিছু কাজের উদ্বোধন করবেন। এরপর শনিবার কুমিল্লায় এসে ডুয়েলগেজ লাইনের উদ্বোধন করবেন।

সূত্র মতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলরুটের ঢাকা থেকে আখাউড়া ও লাকসাম থেকে চট্টগ্রামের ডাবল লাইনের কাজ তিন বছর আগে শেষ হয়। আর আখাউড়া থেকে লাকসামের কাজটি শেষ হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরোপুরি ডাবল লাইন হয়ে যাবে।

এদিকে, সম্প্রতি কুমিল্লা থেকে লাকসামের ডাবল লাইনের কাজটিও শেষ হয়। এছাড়া সঞ্চালন সময় কমিয়ে আনতে দ্রুততার সঙ্গে ডুয়েলগেজ লাইনটি উদ্বোধন করা হচ্ছে।

সূত্র আরও জানায়, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মিটারগেজ ট্রেনের প্রয়োজনীয়তা কমে আসতে পারে। তাই ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলরুটে ডুয়েলগেজ করা হচ্ছে, যেখানে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ দু’টি ট্রেনই চলাচল করতে পারে। তারই একটি অংশের উদ্বোধন হবে শুক্রবার।

কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ট্রেনের একমুখী শিডিউলের কারণে একই সময়ে অনেকগুলো ট্রেন কুমিল্লা স্টেশনের কাছাকাছি অবস্থান করতো। বিকেল ৩টায় চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন কুমিল্লা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ক্রসিং করানোর জন্য সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ট্রেনটিকে কুমিল্লা স্টেশন কিংবা সদর রসুলপুর স্টেশনে থামিয়ে রাখা হতো। বিকেল ৪ টা ২৮ মিনিটে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ও ৫টা ৫মিনিটে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস কুমিল্লা স্টেশনে পৌঁছানোর কথা থাকলেও দুটি ট্রেন ৫-১০মিনিটের ব্যবধানে কুমিল্লা স্টেশনে পৌঁছায়। পাহাড়িকা ট্রেনটি সিলেট ও চট্টলা ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হতো। যার কারণে একটি ট্রেনকে ক্রসিং দিতে গেলে আরেকটি ট্রেন আটকে থাকতে হয় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের মতো। এভাবে প্রায় সবগুলো ট্রেনই কুমিল্লায় এসে আটকে যেতো। ডুয়েলগেজ লাইনটি উদ্বোধন হয়ে গেলে এ জটিলতা অনেকাংশে কমে আসবে। কমে যাবে শিডিউল বিপর্যয়ের ঘটনাও।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জুনে ঢাকা-চট্টগ্রাম ডুয়েলগেজের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।