ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জলবায়ু সংকট: ফাঁসিতে ঝুলে সাতক্ষীরার তরুণদের প্রতিবাদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
জলবায়ু সংকট: ফাঁসিতে ঝুলে সাতক্ষীরার তরুণদের প্রতিবাদ

সাতক্ষীরা: বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ফাঁসিতে ঝুলে প্রতিবাদ জানিয়েছে সাতক্ষীরার তরুণরা।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সুইডিস পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এই কর্মসূচি পালন করে তরুণরা।

পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, লিডার্স, কোস্টাল ইয়ুথ অ্যাকশন হাব, বাংলাদেশ মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট, ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশ, ভিবিডি-সাতক্ষীরা, সামাজিক ও রক্তদান সেবায় আমরা’সহ জেলার বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জলবায়ু কর্মীরা আসন্ন জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬) এবং যুব সম্মেলনকে সামনে রেখে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১.৫ ডিগ্রিতে সীমিত রাখতে উন্নত দেশগুলোকে চাপ প্রয়োগসহ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা ও জলবায়ু নায্যতার দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।

এসময় প্রতীকি ফাঁসিতে ঝুলে জলবায়ু সংকটকে তুলে ধরেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের স্বেচ্ছাসেবক শাহিন সিরাজ।

ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের সাতক্ষীরা ইউনিটের সমন্বয়ক এস.এম শাহিন আলমের সভাপতিত্বে ও শেখ শাকিল হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আনিসুর রহিম, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক আশেক-ই-এলাহী, স্বদেশের নির্বাহী সম্পাদক মাধব চন্দ্র দত্ত, ভিবিডি সাতক্ষীরার সভাপতি সুব্রত হালদার, তামান্না তানজিম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গোটা বিশ্ব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় এই ঝুঁকির মাত্রা সবচেয়ে বেশি। বিশ্বনেতারা এ বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। জলবায়ু পরির্বতনের ঝুঁকি হ্রাস করতে এসব দেশের ভূমিকা সংকীর্ণ। প্যারিস চুক্তি প্রণয়নের প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা আমাদের ভবিষ্যত ও বর্তমান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

বক্তারা আরো বলেন, আমরা আশার ফুলঝুরি শুনতে চাই না। ২০২৫ সালের মধ্যেই গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাষ্ট্রসমূহের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আদায়কৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।