ঢাকা: বাংলাদেশে বৃত্তিমূলক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ঘুষ ও দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ অভিযোগ প্রকাশ করা হয়।
সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখ বার্লিনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অনানুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের দেওয়া সহায়তা কার্যক্রম লেজেগোবরে অবস্থায় পরিণত হয়েছে। এমনকি বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যর্থ হয়ে গেছে।
অভিযোগের স্বপক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে একাধিক উদাহরণও উপস্থাপন করা হয়েছে। যা থেকে প্রমানিত হয়েছে স্বল্প আয়ের পরিবারের কন্যা সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর উদ্যোগ অকার্যকর ও ব্যয় বহুল হয়ে উঠেছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ পরিবারকে ঘুষ দিয়ে ওই কার্যক্রমের তালিকাভূক্ত হতে হয়। এরপর তারা যখন সেই অর্থ সংগ্রহ করতে যান তখন নানারকম অনিয়মের কারণে পুরো অর্থ পান না। কর্মসূচীর আওতার অর্ধেক পরিবারই এমন অভিযোগ করেছেন।
ওই প্রতিবেদনে ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি’ শীর্ষক অংশে বলা হয় পৃথিবীর ৫০টি দেশে এ বিষয়ে গবেষণার পর এটা পরিস্কার হয়ে গেছে, ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির সঙ্গে শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
ওই রিপোর্টে ৪২টি দেশের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়, শিক্ষাক্ষেত্রে ঘুষ লেন-দেন ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে শিক্ষার হার কমার জন্য দায়ী। যা শিক্ষার উন্নয়নে একটি সূচক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১০