ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বরিশালে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
বরিশালে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে ...

বরিশাল: বরিশালে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের (শর্টসার্কিটের) মাধ্যমে। আর এরপরই রয়েছে গ্যাসের চুলার মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।

আর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কমিয়ে আনতে হলে সাধারণ মানুষের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, গেল বছরে বরিশাল জেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ৪৮ শতাংশই ঘটেছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে। এরপরেই ঘটেছে গ্যাসের চুলার মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। আর ৬৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে ফেলে দেওয়া সিগারেটের অংশের সূত্র ধরে। যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষের অসাবধানতাকেই দায়ী করা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পযর্ন্ত বরিশাল জেলায় ৬১০টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত ও আট জন আহত হয়েছেন। যেখান ক্ষতির পরিমাণ ৭ কোটি ১০ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া একইসময়ে ৪৮ কোটি ৮৫ লাখ ২৪ হাজার টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

মোট দুর্ঘটনার মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ২৯১টি, চুলা (ইলেকট্রিক, গ্যাসের, মাটির ইত্যাদি) থেকে ১৫০টি, বিড়ি-সিগারেটের জলন্ত টুকরা থেকে ৬৮টি, উত্তপ্ত ছাই/জ্বালানি থেকে ৮টি, খোলা বাতির ব্যবহার থেকে ৯টি, ছোটদের আগুন নিয়ে খেলা থেকে ১৪টি, যন্ত্রাংশের ঘর্ষণজনিত ২টি, শত্রুতামূলক একটি, বজ্রপাত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে একটি, স্বতঃস্ফুর্ত প্রজ্জ্বলন থেকে ২টি, চিমনির স্ফুলিঙ্গ থেকে একটি, স্থির বিদ্যুৎ থেকে ২টি, বিস্ফোরণ (সিলিন্ডার, বয়লার ইত্যাদি) থেকে ৭টি, যানবাহনের দুর্ঘটনাজনিত কারণে ১৭ টি। এছাড়া আরো ৪১টি অগ্নিকাণ্ডের কারণ শনাক্ত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এসব দুর্ঘটনায় একজনের প্রাণহানি হয়েছে। সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন ৮ জন। আর উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫ জন আহত হন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বিভাগের উপ-পরিচালক এবিএম মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অগ্নিকাণ্ড কমিয়ে আনতে হলে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। একইসঙ্গে প্রশিক্ষণেরও দরকার আছে।

তিনি বলেন, প্রতি বছর সকলের উচিত গ্যাসের লাইন, চুলা, সিলিন্ডার এবং বৈদ্যুতিক লাইন পরীক্ষা করা। দরকার হলে গ্যাসের চুলার রেগুলেটর, পাইপ, বৈদ্যুতিক তার বদলে ফেলতে হবে।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ড কখন ঘটবে সে বিষয়টি পূর্ব থেকে অনুমান করা যায় না। তবে সচেতন হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও তার ইত্যাদি ব্যবহারের সময় পণ্যমান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। বাড়িঘর ও কলকারখানায় অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। কোথাও আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে জানালেও প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
এমএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।