ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেলপথ নির্মাণে জটিলতা কাটলো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেলপথ নির্মাণে জটিলতা কাটলো

ঢাকা: তিন বছর আগে সরকারের অনুমোদন পেলেও পরামর্শক নিয়োগ করতে না পারায় থমকে ছিল সিরাজগঞ্জের শহীদ মনসুর আলী স্টেশন থেকে বগুড়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ। অবশেষে ভারতীয় দুই প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক নিয়োগের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রেল ভবনে পরামর্শক নিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

৯৭ কোটি টাকার বিনিময়ে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রাইটস ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং আরভি ইন্ডিয়া যৌথভাবে এ প্রকল্পের পরামর্শকের কাজ করবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রেল সচিব সেলিম রেজা। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার এবং রাইটস ইন্ডিয়া লিমিটেডের পরিচালক অনিল ভিজ।

চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ছয় মাসে প্রকল্পের বিস্তারিত সমীক্ষা করবে এ দুই প্রতিষ্ঠান। পরের সাত মাসে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন করবে। এরপর শুরু হবে দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়া।

সব মিলিয়ে দেড় থেকে দুই বছর লাগবে এসব প্রক্রিয়া শেষে কাজ শুরু করতে। ২০২৩ সালের শেষভাবে গিয়ে প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে।

যদিও বর্তমান অনুমোদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১ জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা ছিল। সেখানে কাজই শুরু হবে ২০২৩ সালে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ হাজার ৫৮০ কোটি টাকায় সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে ঢাকা-রংপুর বিভাগের জেলাতে ট্রেন যায় পাবনার ঈশ্বরদী ঘুরে বগুড়ার সান্তাহার হয়ে। এ কারণে শত কিলোমিটার বাড়তি পথ পাড়ি দিতে হয় উত্তরের যাত্রীদের।

রেলের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকা-বগুড়ার বর্তমান দূরত্ব ৩২৪ কিলোমিটার। নতুন রেলপথ নির্মাণ হলে এই দূরত্ব কমে হবে ২১২ কিলোমিটার। ১১২ কিলোমিটার দূরত্ব কমায় আশা করা হচ্ছে অন্তত তিন ঘণ্টা সাশ্রয় হবে।

ঢাকা থেকে সরাসরি বগুড়ার রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ দীর্ঘদিনের। ২০০৫ সালে এই রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এশিয়া উন্নয়নের ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে তখন প্রাক-সমীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে প্রকল্পটি এগোয়নি। এক যুগ পর ২০১৭ সালে ভারতের তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) ঋণে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই প্রকল্পে তিন হাজার ১৪৬ কোটি টাকা ঋণ দেবে ভারত। বাকি দুই হাজার ৪৩৩ কোটি টাকার জোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার।

প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়ার বেলাইল পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার মূল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। কাহালু থেকে রানীরহাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রেলপথসহ মোট ৮৪ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেললাইন তৈরি করা হবে। আড়াই কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে বগুড়া শহর থেকে বেলাইল পর্যন্ত। মোট ৯৬০ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে এই সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেলপথের জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
ডিএন/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।