ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শহীদ মিনারে প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১
শহীদ মিনারে প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশ শহীদ মিনারে প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশ

ঢাকা: ধর্মীয় বিভাজনের মাধ্যমে যারা দেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় এবং করেছে, সেসব মৌলবাদী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন নাট্যাভিনেতা রামেন্দু মজুমদার, নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ, দেবপ্রসাদ দেবনাথ, সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, জোটের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, আবৃত্তিশিল্পী আহকাম উল্লাহ, রেজিনা ওয়ালী লীনা, গণসঙ্গীতশিল্পী মাহমুদ সেলিম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, কুমিল্লায় যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। কোনোভাবেই এই মৌলবাদী অপশক্তিকে ছাড় দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি এই ঘটনায় প্রশাসনের কোনো ব্যর্থতা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে। একইসঙ্গে যেসব স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সেখানকার জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা উচিত।

তারা আরও বলেন, গত ২৫-৩০ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। সেই সুযোগে ধর্মান্ধ ও মৌলবাদীরা জনগণকে ইসলামের দোহাই দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। এ কারণেই সরকার আমাদের পক্ষের হলেও সমাজটা চলে যাচ্ছে আমাদের নাগালের বাইরে। এ বিষয়ে সরকারের সচেতন হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। আজকে স্বাধীন বাংলাদেশে পূজাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মাধ্যমে মন্দিরে হামলাসহ যে প্রাণহানি ঘটলো সেটা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত।

বক্তারা বলেন, এই অবস্থায় যা করণীয় আমরা সংস্কৃতিকর্মীরা তাই করবো। সরকারকে আহ্বান জানাবো তারাও যেন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সেটা শুধু শক্তি দিয়ে থামালেই হবে না। বর্তমানে মাদরাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা এই সমাজের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না। শুক্রবার চৌমুহনীতে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটার সঙ্গে জড়িত ছিল এই মাদরাসার শিক্ষার্থীরাই। অথচ মৌলবাদের এসব সূতিকাগারের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতাদেরই নানাভাবে তোষামোদ করা হচ্ছে।

এ সময় বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দাবিও জানান বক্তারা।

সমাবেশ থেকে আগামী ১৯ অক্টোবর দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় সম্প্রীতি রক্ষা দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেদিন জোটের পক্ষ থেকে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে কেন্দ্রীয়ভাবে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া কুমিল্লার যে মন্দিরকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক হামলার সূত্রপাত হয় সেখানে আক্রান্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে বলেও জানানো হয় সমাবেশে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১
এইচএমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।