ঢাকা: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ভারত-সোভিয়েত ইউনিয়নের নাম বার বার উঠে এসেছে। এ সময় এ দু’দেশের নেতাদের নামও উঠে আসে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বুধবার (২৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বিশেষ আলোচনার এ প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন।
এর আগে এদিনই সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদে স্মারক বক্তব্য রাখেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব উপস্থাপন করলে তার প্রস্তাবের ওপর শুরু হয় আলোচনা। এতে সরকারি দল ও বিরোধী দলের সদস্যরা অংশ নেন। এ আলোচনায় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এবং এরপর স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাদের নাম উঠে আসে।
আলোচনায় অনেক সংসদ সদস্যের মুখে উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা ও অবদানের কথা। আলোচনায় বার বার উচ্চারিত হয় ভারতের নাম। এর পাশাপাশি উচ্চারিত হয় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের (রাশিয়া) সহযোগিতা ও ভূমিকার কথা। এ সময় বার বার ঘুরে ফিরে আসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ইন্দিরা গান্ধী ভূমিকার কথা। আলোচনায় বার বার ইন্দ্রিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয় মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আলোচনায় উঠে আসে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ভিবি গিরির নাম। আলোচনায় আসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর নামও।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা ও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা এবং স্বাধীনতার পর সহযোগিতার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদানের কথা উঠে আসে। এর পাশাপাশি সে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নিকলাই পদগর্নি, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক লিওনিদ ব্রেজনেভ, প্রধানমন্ত্রী আলেক্সেই কোসিগিন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই গোমিকভ-এর নামও উচ্চারিত হয়।
আলাচনায় আসে কিউবার বিপ্লবী নেতা ও রাষ্ট্রপতি ফিদেল ক্যাস্ট্রো, যুগোস্লাভিয়ার রাষ্ট্রপতি মার্শাল টিটো (জোসিপ ব্রজ টিটো), ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী অ্যাডোয়াট হিথ, মিশরের রাষ্ট্রপতি আনোয়ার সাদাতের নাম।
রাজনৈতিক নেতৃত্বের পাশাপাশি রাজনৈতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গায়ক বব ডিলান, বিখ্যাত মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ ও ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ রবিশঙ্করের নাম আলোচনায় উঠে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
এসকে/আরবি