ঢাকা: দেশের সব শিক্ষার্থীদের জন্য গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন।
যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার প্রচলন পাকিস্তান আমল থেকেই ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও এ প্রথা চালু আছে। কিন্তু ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে বিভিন্ন গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়ার পরিবর্তে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। কিন্তু সারা বিশ্বে ডিজেলের মূল্য কমে যাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে তার কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি।
নেতারা বলেন, শিক্ষার্থীদের নিজস্ব কোনো আয় নেই। অভিভাবকদের আয়ে তাদের শিক্ষার যাবতীয় খরচ চালাতে হয়। করোনাকালে অভিভাবকরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের আয় কমে গেছে। অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। তাদের সন্তানের ভরণপোষণ ঠিকমত চালাতে পারে না। তার ওপর গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এটা ‘মড়ার ওপর খাড়ার ঘাঁ’। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
অভিভাবক নেতারা আরও বলেন, ২০১৫ সালে অক্টোবরে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান বরাবর সব শিক্ষার্থীর জন্য অর্ধেক ভাড়ার ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু তখন এ বিষয়ে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিষয়টি এত দিন ধামাচাপা পড়েছিল।
নেতারা বলেন, আইনে অনেক কিছুই থাকে না। প্রথা আছে শিক্ষার্থীদের গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার। তাই সেটাই বহাল রাখতে হবে।
তারা আরও বলেন, ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল, পাকিস্তান, ভূটান, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে শিক্ষার্থীদের গণপরিবহনে ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়। তাই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশেও গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করার জন্য জোর দাবি জানান অভিভাবক নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২১
এমআইএইচ/এএটি