ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৬০ হাজার টাকায় বাঁচতে পারে কামরুলের জীবন!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
৬০ হাজার টাকায় বাঁচতে পারে কামরুলের জীবন!

খুলনা: দরিদ্র রিকশাচালক কামরুল সরদার (৫৫) ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন তিনি।



খুলনার বটিয়াঘাটার হোগলাডাঙ্গায় কেয়ারটেকার হিসেবে একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকেন কামরুল।  

৮ বছর আগে কামরুলের একটি ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। কামরুলের স্ত্রী একটি চায়ের দোকান দিতেন। করোনার লকডাউনে দোকানের পুঁজি ভেঙে খেয়ে এখন নিঃস্ব তারা। দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। সহায় সম্বল যতটুকু ছিল তা দিয়ে একটি কেমো থেরাপি দিয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আরও ৫টি কেমো লাগবে।

অসুস্থ কামরুল বলেন, কয়েক মাস আগে খুলনার কিউর হোম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেখানোর পর টেস্টের মাধ্যমে জানতে পারি ফুসফুসে ক্যানসার হয়েছে। সেই থেকে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছি। আমার একটি কেমো দেওয়া হয়েছে। ২১ দিন পর পর বাকী ৫টি কেমো দিতে হবে। এজন্য প্রায় ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন। আমি পরিবারের জন্য বাঁচতে চাই। দেশের সহৃদয় মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি। পাশাপাশি সবার কাছে দোয়ার কামনা করছি।

কামরুলের স্ত্রী জোছনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। নিয়মিত ওষুধও কিনতে পারছি না। চিকিৎসার জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা যোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। একটি ছেলে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে মারা যায়। যাদের কাজ করতে গেছিল সেখান থেকে কোন ক্ষতিপূরণ পাইনি। আমার ছেলের ছোট ছোট দুটি ছেলে-মেয়ে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী আগে রিকশা চালাত। কিন্তু অসুস্থ হওয়ার পর তাও পারছে না। আমি রাস্তার পাশে একটি চায়ের দোকান দিতাম। করোনার লকডাউনে তাও শেষ। এখন যদি কিছু পুঁজি পেতাম তাহলে আবার চায়ের দোকান দিতে পারতাম।

সবার সাহায্য সহযোগিতায় বেঁচে যেতে পারে কামরুলের প্রাণ, অন্যদিকে সবার সহযোগিতা বাঁচিয়ে রাখবে একটি দরিদ্র পরিবারকে।  
সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা: হিসাব নং- ০০৬১১২০১৫৩২২৪, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, খুলনা শাখা। কামরুলের সঙ্গে কথা বলতে যোগাযোগ করুন ০১৯৭৭-৩৯০৬৯০ ( বিকাশ পার্সোনাল) নম্বরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।