ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্জয়ের মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
দুর্জয়ের মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা ...

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ঢাকার রামপুরায় অনাবিল বাসের চাপায় নিহত স্কুলছাত্র মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের (১৭) মরদেহের অপেক্ষায় রয়েছেন তার স্বজনরা। তার নানা বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার হালুয়াপাড়া গ্রামে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে তার নানা বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সব আত্মীয় স্বজন বাড়ির সামনে বসে আছে। প্রিয় মুখখানা একনজর দেখার জন্য। অনেকেই আবার হাউ মাউ করে কেঁদে উঠছেন। তার অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না পরিবারের লোকজন।

নিহতের পরিবার জানায়, তিন ভাই-বোনের মধ্যে দুর্জয় ছিল সবার ছোট। তার বড় ভাই মনির ঢাকায় প্রাইভেট গাড়ি চালায়। বড় বোন ঝুমা আক্তারের বিয়ে হয়ে গেছে।

নিহতের খালাতো ভাই খুরশেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, তার বাড়ি উপজেলার পানিশ্বর গ্রামে। বাবা আব্দুর রহমান প্রায় ২০ বছর আগে ভিটি বাড়ি বিক্রি করে পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে যান। সেখানে একটি চায়ের স্টল দিয়ে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা ও সংসার চালাতেন। মাঝে মধ্যে ছেলে সন্তানদের নিয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসতেন।

তিনি আরেও বলেন, দুর্জয়ের প্রথম জানাজা ঢাকায় হয়েছে। মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স নানাবাড়ির উদ্দেশে রওনা এশার নামাজের পর জানাজা শেষে নানাবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

নিহতের খালা আফিয়া বেগম বাংলানিউজকে বলেন, সম্প্রতি দুর্জয়ের এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সে বলেছিল নানা বাড়িতে বেড়াতে আসবে। এখন তার নিথর দেহ আসবে এখানে। তার বাবা অনেক কষ্টের মধ্যেও তার পড়ালেখা বন্ধ করেনি। সে ছাত্র হিসেবে অনেক মেধাবী ছিল। পড়ালেখার পাশাপাশি বাবাকেও কাজে সাহায্য করতেন।

নিহতের ভাবি শারমিন আক্তার বলেন, দুর্জয় সব সময় আমার ছোট বাচ্চার সঙ্গে খেলা করত। এখন সে আর আসবে না। ভাবতেই আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।