সিলেট: সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাটে একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে সোহেল আহমদ (৩৫) নামে এক বাবুর্চি ও সালমা বেগম (৩৬) নামে নারী সহকারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (০১ ডিসেম্বর) সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন কানাইঘাটের গাছবাড়ি নয়াগ্রারে মৃত রহমত উল্লাহর ছেলে সোহেল আহমদ (৩৫) ও জেলার ওসমানীনগরের তাহেরপুর গ্রামের মৃত আকবর আলীর মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা সালমা বেগম (৩৬)। এছাড়া গুরুতর অসুস্থ বাবুর্চি সোহেলের সহকারী বিল্লাল কানাইঘাটের ব্রক্ষণগ্রামের বাসিন্দা।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) জাহিদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে বুধবার বিয়ের অনুষ্ঠানে রান্নার কাজে এসেছিলেন বাবুর্চি ও তার সহকারীরা। রাতে গরু জবাই করেন এবং সবজি রান্না করেন। ভোর রাত ৩টার দিকে মাংস দিয়ে খাবার খেয়ে রান্না ঘরের পাশের ছোট একটি কক্ষে ঘুমাতে যান। মশার উপদ্রুপ থেকে রক্ষায় ঘরে দু’টি কয়েল জ্বালিয়ে রাখেন। সকালে বিয়ে বাড়ির লোকজন তাদের ডাকতে গেলে কোনো সাড়া শব্দ মিলেনি। পরে ছোট একটি শিশুকে ঘরে ঢুকিয়ে ভেতর থেকে দরজা খুলে তাদের অচেতন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুর্চি সোহেল ও সালমা বেগমের মৃত্যু হয়। অসুস্থ বিল্লালকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় নতুবা ছোট ঘরটিতে মশার কয়েল ও চাড় কয়েলের ধোঁয়ায় অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারেন। কেননা ওই তিন জনই বমি করেছেন। এরপরও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২১
এনইউ/কেএআর