ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীতে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে ৩

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২১
রাজধানীতে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে ৩ ...

ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় তিনজন অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েছেন। তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে এই ঘটনাগুলো ঘটে। ভুক্তভোগীরা হলেন আমজাদ হোসেন (৩৫), দাইয়ান (৪৫) ও আবুল কালাম আজাদ (৩৭)।

আমজাদ হোসেনের শ্যালক মো. রনি জানান, আমজাদ নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁওয়ে থাকেন। এলাকাতে তার কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে। আমজাদের শ্বশুর আমানুল্লাহ রাজধানীর রামপুরায় একটি হাসপাতালে ভর্তি। রোববার (৫ ডিসেম্বর) তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা। হাসপাতালের বিল পরিশোধের জন্য ২ লাখ টাকা নিয়ে তিনি সোনারগাঁও থেকে ঢাকায় আসছিলেন। আসমানি পরিবহনের একটি বাসে করে আসার সময় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন তিনি। ওই বাসের কর্মচারীরা তাকে অচেতন অবস্থায় ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের সামনের রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে যায়। পরে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বেলা দেড়টার দিকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।

এদিকে গুলিস্তান স্টেডিয়ামের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দাইয়ানকে।

তার চাচাতো ভাই মো. রাজিব জানান, একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন দাইয়ান। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া উপজেলায়। গ্রাম থেকে দুপুরে সে ঢাকায় আসছিল। পথে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁওয়ে নেমে সেখান থেকে আবার দোয়েল পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। ওই বাসের মধ্যেই সে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন। পরে ওই বাসের কর্মচারীরা তাকে গুলিস্তান স্টেডিয়ামের পাশে এনে নামিয়ে দেয় এবং তার সঙ্গে থাকা ফোন থেকেই স্বজনদের খবর দেয়।
তার কাছ থেকে কী কী হাতিয়ে নিয়েছে তা জানা যায়নি।

মিরপুর থেকে উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদকে। তিনি নকশি কাথার ব্যবসা করেন।

তার ফুপাতো ভাই মো. নাজমুল জানান, কালামের বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলায়। এলাকা থেকে তিনি নকশি কাথা কিনে বিভিন্ন জায়গায় সরবারহ করেন। তিনি রোববার গ্রাম থেকে রাজধানীর উত্তরায় এসেছিলেন এক আত্মীয়ের বাসায়। দুপুরে আত্মীয়ের বাসা থেকে বের হন বান্দরবানে যাওয়ার জন্য। এর কিছুক্ষণ পর তারা শুনতে পারেন, মিরপুর ১ নম্বর সেকশনে রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়ে আছে কালাম। পরে তারা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার সঙ্গে মোবাইল ফোনটি পাওয়া গেলেও মানিব্যাগ পাওয়া যায়নি।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বিকেলে পর তাদের তিন জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২১
এজেডএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।